Unlock a World of Free Content: Books, Music, Videos & More Await!

iTahmid

Description
Tech, History, Geopolitics
We recommend to visit

মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।

Last updated 1 year, 1 month ago

ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in

Last updated 6 days, 13 hours ago

Facebook: https://www.facebook.com/mayraj.neo.official?mibextid=ZbWKwL
Hushup: https://hushup.app/mayraj_hossain

Last updated 1 week, 1 day ago

1 week, 4 days ago

তীব্র দাবদাহে সব স্কুল-কলেজ ৭ দিনের বন্ধ ঘোষণা।

1 week, 5 days ago

কারণ এই প্রোডাক্ট সাফল্য পেলে এটার অনেক কপি মার্কেটে চলে আসবে, শিওর।
এই প্রজেক্ট সফল হলে কম্পিউটার চালানো যাবে, এমন পোর্টেবল সিস্টেম আনার প্ল্যান আছে ইনশাআল্লাহ। সেটাও নির্ভর করবে এটাতে মানুষ এমন আগ্রহ দেখায়, তার উপর।
আমাকে অনেকে নিষেধ করেছে, কারণ বাংলাদেশের মানুষ নাকি ভালো জিনিস চায় না।
আমি অনেকের নিষেধ না শুনেই এটার পেছনে লেগে ছিলাম। দেখা যাক কী হয়।

এটা পোর্টেবল ফিক্সড সিস্টেম। এর বাইরে কারো যদি কাস্টমাইজ এসি সিস্টেম বা ডিসি সিস্টেম লাগে, সেটাও দেয়া যাবে। এর জন্য আমার সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। মেইল করতে পারেন।

শুধু মাত্র এই সিস্টেম নিয়ে কথা বলতেই খুলেছি এই গ্রুপ

https://t.me/Takebox1

1 week, 5 days ago

দ্বিতীয় সমস্যা:
আপনি চাইলেই কিন্তু এর তিন ভাগের একভাগ খরচে অর্থাৎ দুই লাখের জায়গায় ৬০-৭০ হাজার খরচ করে একই সংখ্যক লাইট ফ্যান চালাতে পারবেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যাটি হলো, আপনাকে আলাদা আলাদা লাইট ফ্যানের জন্য দেয়ালে আলাদা ওয়ারিং করতে হবে। আলাদা সুইচ লাগবে। সুইচ এবং চার্জ কন্ট্রোলার বসানোর জন্য দেয়ালে ড্রিল করা লাগবে।

এই জায়গায় এসে আমি তৃতীয় সমস্যাটি দেখতে পাই।
সেটি হলো, বেশীরভাগ মানুষ থাকেন ভাড়া বাসায়। যেখানে বাড়ীওয়ালা আপনাকে সুইচ, বোর্ড, চার্জ কন্ট্রোলার বসানোর জন্য ড্রিল করতে দেবে না। ফলে আপনার একটা ব্যাকআপ এনার্জী নেয়ার ইচ্ছা এবং সামর্থ্য থাকলেও আপনি সেটা নিতে পারছেন না।
আবার অনেকে নিজের বাড়ীতেও আলাদা ড্রিল করা, সুইচ, বোর্ড, ওয়ারিংয়ের ঝামেলায় যেতে চান না। কারণ এসবের জন্যও আবার আলাদা খরচ আছে, যেটা আপনার নিজেরই বহন করতে হয়, সোলারের সেলার দেবে না। মিস্ত্রী লাগে, সময়ও লাগে। নিজে নিজে ইন্সটল করা যায় না।

তখন আমি চিন্তা করলাম, কীভাবে এটাকে এমনভাবে করা যায়, যাতে আপনার দেয়ালে ড্রিল লাগবে না, আলাদা ওয়ারিং লাগবে না। ইন্সটল করার জন্য মিস্ত্রী বা টেকনিশিয়ান লাগবে না। নিজেই লাগাতে পারবেন। যখন ইচ্ছা নিজেই খুলে ফেলতে পারবেন। পুরোপুরি পোর্টেবল একটা সিস্টেম। বাসা চেঞ্জ করলে ৫ মিনিটেই খুলে সাথে করে নিয়ে চলে যেতে পারবেন।
ভাবলাম, নিজেই বানিয়ে ফেলি এরকম একটা সিস্টেম।
এটা ডেভেলপ করতে গিয়ে অনেক কিছুই নতুন করে কাস্টমাইজ করা হয়েছে। অনেক সমস্যার সমাধান করতে হয়েছে।
সবেচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বহনের সুবিধার্তে আমরা এখানে সাধারণ ব্যাটারীর বদলে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করছি। যা আপনাকে অনেক কম ওজনে, ছোট সাইজেই অনেক বেশী ব্যাকআপ দেবে।

সংগত কারণেই পুরো সিস্টেমের টেকনিক্যাল ডিটেইল এখানে বলছি না। আগ্রহীদেরকে সেভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

আমি চেষ্টা করেছি সবেচেয়ে ভালো জিনিস দিয়ে, সবচেয়ে কম খরচে যেন একটা মিনিমাম নীড পূরণ হয় আপনার।
এই সিস্টেমে আপনি পাচ্ছেন ২টি ফুল সাইজের টেবিল ফ্যান, যা দিয়ে আনলিমিটেড টাইম ব্যাকআপ পাবেন। ৩টি লাইট। আরো ২টি এড করে ৫টি লাইট ব্যবহার কর‍তে পারবেন।
ফোন, পাওয়ার ব্যাংক চার্জ করতে পারবেন।
প্যানেলের জন্য ক্যাবল দেয়া হবে ৪২ ফিট।

৩টি লাইট করেছি যাতে একটি লাইট আপনার রুমে, একটি লাইট বাথরুমে এবং একটি রান্নাঘরে জ্বালাতে পারেন। এবং এর বাইরে দরকার হলে আরো দুটি এড করতে পারবেন।
দুটি ফ্যান, কারণ একটি আপনার নিজের বেডরুমের জন্য, আরেকটি বাসার অন্যদের জন্য।
অর্থাৎ গরম হোক বা লোডশেডিং, আপনার মিনিমাম নীডস যাতে পূরণ হয়। আপনার যাতে এক সেকেন্ডের জন্যও লোডশেডিংয়ে কষ্ট পেতে না হয়। সেভাবেই চিন্তা করে এটা করা।
এগুলো আপনি সারাদিন, সারারাত চালাতে পারবেন। চার্জিং ফ্যানের মত ৫-৬ ঘণ্টা ব্যাকআপ পাবেন, চার্জ শেষ হয়ে যাবে, এমন দুশ্চিন্তা থাকবে না।

এই টোটাল সিস্টেমের দাম নির্ধারণ করেছি ৪৫ হাজার টাকা। এখানে লো কিংবা বাজে কোয়ালিটির কিছুই ব্যবহার করিনি। চার্জ হওয়ার জন্য আপনার তীব্র রোদ লাগবে না। দিনের আলো পেলেই হবে। শুধু ছায়া পড়বে না এমন জায়গা দেখে ছাদ বা চালে রাখলেই হবে।

আমি চেষ্টা করেছিলাম কোয়ালিটি ধরে রেখে মিনিমাম কস্টিংয়ে করতে। সব কিছুর দাম এত বেড়ে গেছে, তাই এরচেয়ে কমানো সম্ভব হয়নি। কমাতে গেলে কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ করতে হতো।
দাম সামনে আরো বাড়বে, তখন আরো বাড়াতে হবে। শুরুর দিকে প্রি অর্ডারের জন্য ৫২০০ টাকা ডিস্কাউন্ট রাখব। ফলে টোটাল সিস্টেমের দাম পড়বে মাত্র ৩৯৮০০ টাকা।
প্রি অর্ডারের জন্য খুবই ছোট একটা এমাউন্ট পে করলেই হবে। ফুল পেমেন্ট করতে হবে না।

প্রি অর্ডার শেষ হওয়ার ১০ দিন পর থেকে ডেলিভারী শুরু হবে।
প্যানেল কেমন কার্যকর সেটা নিয়ে কোনো টেনশনের কারণ নেই। ভেঙে না ফেললে প্যানেলের ১৫ বছরের ওয়ারেন্টি দেব।

বছরের পর বছর নিশ্চিন্তে চলে যাবে। বাংলাদেশে সবচেয়ে জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বাড়বে, ফলে আরো বাড়বে। বিদ্যুতের সংকট তীব্র হবে। তখন দাম আরো বাড়বে। যত আগে নিতে পারেন এবং যত আগে দিতে পারি, তত কম খরচেই পাওয়া যাবে।

অনেকে আগ্রহী হলেই কেবল এটার ম্যানুফাকচারিংয়ে যাব। কারণ কস্টিং কমাতে আমার অন্তত দুই আড়াইশটা একবারে বানাতে হবে। যাতে আমার খরচ হবে এক কোটি টাকা। আগ্রহীদের সংখ্যা কম হলে সেটা এনে লাভ নেই।

তারচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- এই কস্টিংটা ধরেছি বাল্ক হিসাব করে। কয়েক পিস করে বানাতে হলে একটাতেই খরচ হবে ৭০-৮০ হাজার টাকার মত।
যা এখন ৪০ হাজারের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। এটা পাইলটিং হিসেবে লাভ করার চিন্তা করছি না। প্রথম ব্যাচের পরে হয়তো লাভ নির্ধারণ করবো।
আশা করছি প্রথম দিকে যারা নেবেন, তারা সবচেয়ে বেশী লাভবান হবেন।

2 weeks, 1 day ago

গত ৬ ঘণ্টায় অনেকগুলো চাইনিজ জঙ্গী বিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমা লঙ্ঘণ করেছে বলে জানাচ্ছে তাইওয়ানের ডিফেন্স মিনিস্ট্রী।

2 weeks, 1 day ago

যদিও ইরান ভালো করেই জানতো এত লম্বা দূরত্ব থেকে পাঠানো ড্রোন ইজরাইলের মাটিয়ে হিট করতে পারবে না। হলোও তাই। একটা ড্রোনও ইজরাইলের মাটিতে হিট করেনি। তবে ড্রোনগুলো ঠেকাতে ইজরাইলের খরচ হয়েছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশী। এই খরচ খুবই সামান্য।
কারণ ইজরাইলের হয়ে বেশীরভাগ ড্রোন এবং মিসাইল ঠেকিয়েছে আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, জর্ডান, সৌদি আরব। এবং বিশেষজ্ঞরা বলছে খুব সম্ভবত মিশরও।
তবে জর্ডানের কথা প্রকাশ্যে বলায় শোনা যাচ্ছে জর্ডান ইজরাইলের উপর নাখোশ হয়েছে।

ইরান ১৭০টি সস্তা শাহেদ ড্রোন, ২০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম, ফায়ার করে। সাথে কিছু ক্রজ মিসাইল, যার ৩০টা মত ইজরাইল নিজে ফেলে দেয়।
এগুলো ছিল ডিকয়। মূল অস্ত্র ছিল ব্যালিস্টিক মিসাইল। যার মধ্যে বেশ কিছু মিসাইল নেভাটিম এয়ার বেইজে আঘাত হানতে সক্ষম হয়, যা ইজরাইল এবং তার বন্ধুরা ঠেকাতে পারেনি।
ইজরাইলী সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারী বলেছে, খুব সামান্য ক্ষতি হয়েছে তাদের।
যদিও আমরা কখনোই জানতে পারব না কত ক্ষতি হয়েছে। কারণ ইজরাইল নিজেদের ক্ষতি গোপন করতে ওস্তাদ। যা আমরা গাযাতেও দেখেছি।
এই ব্যালিস্টিক মিসাইল হিট করা দ্বারা ইরানের মেসেজ পরিষ্কার। তারা চাইলে সরাসরি ইজরাইলে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালাতে পারে, এত দূরত্ব থেকেও। এমনকি ইজরাইলের প্রতিবেশী লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ কিংবা ইরাক, সিরিয়ার প্রক্সিদের ব্যবহার না করেই।
ইজরাইলী ডিফেন্স সিস্টেম এবং তার মিত্রদেরও সব ঠেকানোর সক্ষমতা নাই।
ইজরাইল আইরন ডোমের পাশাপাশি ব্যবহার করে এরো, যা আমেরিকার সাথে মিলেই ডেভেলপ করেছে তারা।

ইরানী আক্রমণের ফলে নেতানিয়াহুর অবস্থা এখন আরো সংকটে। সে যদি এখন ইরানে হামলা চালাতে যায়, তাহলে আমেরিকার সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে। কারণ বাইডেন অলরেডি তাকে নিয়ে বিপদে আছে। সামনে ইলেকশন। তাই বারবার তাকে নিষেধ করছে ইরানে হামলা না চালাতে।
অন্যদিকে ইরানী অ্যাটাক খেয়ে চুপ করে বসে থাকলে ইজরাইলে তার ইমেজ খারাপ হয়ে যাবে। বিরোধীরা তাকে নিয়ে মক করবে। তাকে রাজনৈতিকভাবে দূর্বল দেখাবে।
আমেরিকা বারবার নিষেধ করা স্বত্তেও সে চাচ্ছে আক্রমণে যেতে।

আমেরিকা ইতিমধ্যে বুঝতে পারছে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার হটানো, সিরিয়ায় আসাদকে সরানোর সিদ্ধান্তের মতই একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল গাযায় ইসরাইলী আগ্রাসনকে পূর্ণ সমর্থন করা। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সে অনেক সিদ্ধান্তেই মিত্রদেরও পাশে পায়নি। ইজরাইলের পক্ষে সে একা ছিল।
ইউএস ডিফেন্স সেক্রেটারী অস্টিন ইউএস কংগ্রেসে বলেছে, গাযায় কোনো গণহত্যা হচ্ছে না।
জিনিসটা পাওয়েল কলিন্সের জাতিসংঘে দেয়া স্পীচের মতই মিথ্যা, এটা তারাও বুঝতে পারছে।
পাওয়েল কলিন্স জাতিসংঘে বলেছিল, সাদ্দাম হোসেনে WMD আছে।
পরে আমেরিকার নিজেরও স্বীকার করতে হয়েছে এটা মিথ্যা ছিল। যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার বন্ধুদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিয়েছে।

এবারও বুঝতে পারছে সেরকম কিছুজ ঘটতে যাচ্ছে। যা আমেরিকার ইমেজকে তার বন্ধুদের কাছেই খারাপ করছে।
ফলে ইরানের অ্যাটাক নেতানিয়াহু এবং আমেরিকাকে ফেলে দিয়েছে উভয় সংকটে। আমেরিকা তার বখাটে ছেলেকে প্রটেকশন দেবে না নিয়ন্ত্রণ করবে সেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
অন্যদিকে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও হুমকির মুখে পড়ে গেছে। তাকে একটা কঠোর সিদ্ধান্তে আসতেই হবে।

2 weeks, 1 day ago

৬ মাস ধরে যখন গাযা দখল করতে পারছে না, হামাসকে পরাজিত করে গাযার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছে না এবং সেরকম কোনো সম্ভবনাও দেখা যাচ্ছে না, তখন নেতানিয়াহু আরেকটি জুয়া খেলে বসে।
বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ভালো করেই জানতো সে কী করতে যাচ্ছে, যখন সে সিরিয়ার ইরানী দূতাবাসে হামলার নির্দেশ দেয়। যেমনটা সে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নির্দেশ দিয়েছিল আম্মানে খালিদ মিশালকে হত্যা করতে।

ইরানী দূতাবাসে হামলায় নিহত হয় ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা জাহেদী এবং আরো কিছু কমান্ডার।

৬ মাস ধরে গাযার চলমান যুদ্ধে হামাস আত্মসমর্পণ করবে, এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফিলিস্তিনীরাও হামাসের বিরুদ্ধে চলে যাবে, সেরকম কোনো লক্ষণ এখনো পর্যন্ত নেই।
ইজরাইল ব্যাটলগ্রাউন্ডে ভালো পরিমাণ সৈন্য হারিয়েছে।
অন্যদিকে ইজরাইলের প্রধান রক্ষাকর্তা আমেরিকা আন্তর্জাতিকভাবে তার কথার গুরুত্ব হারাচ্ছে। ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভোটারদের কাছে দিনদিন অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে গাযায় ইজরাইলী আগ্রাসনের পূর্ণাঙ্গ সমর্থনের কারণে।
ইজরাইলের ভেতরে নেতানিয়াহুর সমর্থন নামতে নামতে তলানীর দিকে চলে যাচ্ছে। গদি বাঁচাতে সে মার খেয়েও যুদ্ধ চালু রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
কিন্তু গাযায় সেরকম কোনো সাফল্য সে দেখাতে পারছে না। ইজরাইলের ভেতরেই তার পদত্যাগের জন্য আন্দোলন বাড়ছে।
সে সময়ে এসে জুয়াড়ী নেতানিয়াহু আরেকটি জুয়া খেললো মূলত ইরানী দূতাবাসে হামলা করে।
প্রত্যেক দেশের দূতাবাস সে দেশের ভূমি হিসেবে গণ্য হয়। ফলে সিরিয়ায় ইরানী দূতাবাসে হামলা আন্তর্জাতিক আইনে ইরানী সয়েলে হামলা করার সমান।
সবাই জানে ফিলিস্তিনী সশস্ত্র গ্রুপ হামাসের অস্ত্র বানানোর যে টেকনোলজি, সেগুলো ইরান থেকেই নেয়া। তাদের রকেট, ড্রোন এগুলো বানানোর প্রক্রিয়া ইরানীদের শেখানো।
আবার তাদের পক্ষে কথাও বলে ইরান। এছাড়া ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফিলিস্তিনের বাইর থেকে যুদ্ধে অংশ নেয়া হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ তথা হুতিরা সবাই ইরানী মদদপুষ্ট।
ফলে ইজরাইলের সাথে সরাসরি না জড়িয়ে প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে মূলত ইরানই।

কিন্তু ইরান কখনোই ইজরাইলের সাথে সরাসরি কোনো যুদ্ধে কখনো জড়ায়নি। শুধু মুখে মুখেই হুমকি দেয়া পর্যন্তই ছিল সরাসরি ইন্টারেকশনে সীমাবদ্ধ।
অবশেষে শুরুটা করলো ইজরাইল। ইরানী দূতাবাসে হামলা করে শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করলো তারা।
এমন না যে ইরানীদের কখনো হত্যা করেনি ইজরাইল। ইরানের মাটিতেই ইরানী বিজ্ঞানী, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করেছে ইজরাইল। তবে সেগুলো সরাসরি নয়। মোসাদকে দিয়ে করিয়েছে।
এবার এয়ার স্ট্রাইক সবগুলোকে বদলে দিয়েছে।

আমেরিকা জানতো ইজরাইল আসলে কী করতে যাচ্ছে। ইজরাইল মূলত এই যুদ্ধে আমেরিকাকে সরাসরি টেনে আনতে চাচ্ছে। গত ১৪ বছরে অন্তত ২ বার ইরানীদের উপর সরাসরি অ্যাটাক করেছে আমেরিকা। তবে এবার সেরকম কোনো আগ্রহ তাদের নাই।
এজন্য আমেরিকানরা ইরানকে আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছে, এই অ্যাটাকের সাথে আমেরিকানদের কোনো সম্পর্ক নাই। তারা আগেভাগে কিছুই জানতো না। তারা যখন জানতে পারে, তখন বিমান অলরেডি আকাশে।

আক্রান্ত হওয়ার পরও ইরান সময় নিয়েছে। তারা সাথে সাথে রিয়েকশন দেখায়নি। তারা দেখলো জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে কী ঘটছে। ইরানী দূতাবাসে হামলার জন্য রাশিয়া একটি নিন্দা প্রস্তাব তোলে, তখন আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স ভেটো দিয়ে প্রস্তাবটি বাতিল করে দেয়।

ইরান তখন প্রস্তাব দেয়, তেহরান ইজরাইলে হামলা করবে না যদি গাযায় একটি যুদ্ধবিরতি হয়।
স্বাভাবিকভাবেই সেটাও কেউ মানলো না।
প্রত্যেক পশ্চিমা দেশ ইরানকে নিষেধ করলো ইজরাইলে হামলা না করতে।

ইরান খুব সতর্কতার সাথে প্ল্যান সাজালো। ইরানীদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঠাণ্ডা মাথার এই প্ল্যানে তারা পরিমিত হামলার মাধ্যমে একটা মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করলো। কারণ এটা সবারই জানা যে, ইরানের অর্থনীতির অবস্থা ভয়াবহ রকমের খারাপ। সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর সক্ষমতা তাদের নাই।
তাই তারা একটা ফুল স্কেল যুদ্ধকে এভয়েড করতে পরিকল্পিত ছোট আকারে একটা হামলা করলো।
এই হামলায় তারা মূলত মেসেজ দিল আমেরিকা, ইজরাইল এবং আরবদেরকে।
ইরান বুঝাতে চাইলো পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে যাওয়া ছাড়াই সে চাইলে ইজরাইলে হামলা করতে করতে পারে।
তারা আরবদেরকেও বুঝাতে চাইলো, একই জিনিস তোমাদের সাথেও ঘটতে পারে।

ইরানের ফায়ার করা মাত্র কয়েকটা রকেট ইজরাইলের ভূমিতে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু তাদের মেসেজ স্পষ্টভাবেই পৌঁছায়।
ইরান তাদেরকে খুবই সস্তা ড্রোন পাঠায় প্রথমে। পাঠানোর আগে প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেয় তোমাদের প্রস্তুতির জন্য ৮ ঘণ্টা সময় আছে হাতে। এই কাজটা মূলত ইজরাইল করে ফিলিস্তিনীদের উপর হামলার আগে। তারা জানিয়ে দেয় আমরা এই জায়গায় হামলা করব। সেইম কাজটাই ইরান করে ইজরাইলীদের সাথে।

2 weeks, 1 day ago

ইস্ট জাবালিয়াতে বাফারজোন ক্রিয়েট কর‍তে চাওয়া ইজরাইলী সেনাদের উপর যৌথভাবে হামলা করেছে ৩টি ফিলিস্তিনী গ্রুপ।
আল আকসা ব্রিগেড, ইসলামিক জিহাদ এবং প্যালেস্টাইনিয়ান মুজাহিদীন গ্রুপ যৌথভাবে ইজরাইলী আর্মীর উপর হামলা চালায়।

2 weeks, 1 day ago

সব কিছু ঠিক নাই। ইজরায়েল ইরানে পাল্টা আঘাত চালাবে বলছে। তাদের পক্ষে ইরানী আক্রমণ হজম করা কঠিন হচ্ছে, বদ হজমও বলা চলে।

আমেরিকা যদিও বলেছে ইজরায়েলি আক্রমণে তারা অংশগ্রহণ করবে না, তবুও শিওর থাকুন সেই ক্ষেত্রে দুই দেশের মিলিটারি নানান তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাথেই থাকবে, খুব বেশি হলে আমেরিকান ফাইটার জেট ইরানের আকাশে উড়বে না, কিংবা আমেরিকান জাহাজ ডিরেক্ট মিসাইল ছুড়বে না। কিন্তু আমেরিকান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ফাইটার জেট ঠিকই ইজরায়েলের আকাশ আর মাটিকে ইরানী মিসাইল আর ড্রোন মুক্ত রাখার সকল প্রচেষ্টা জারী রাখবে। ইজরায়েলকে পাহারা দিবে। একই কথা বলা চলে ব্রিটেনের ক্ষেত্রে।

ইরান জানিয়েছে, আমেরিকা যদি পাল্টা আক্রমণে ইজরায়েলকে সাহায্য করে তবে মধ্যপ্রাচ্যে ইউএস বেইসগুলোতে ইউএস সেনাদের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।

এখন ইজরায়েল ট্যাকটিকাল না হয়ে গায়ের জোর চালাবে।

গত শনিবার (১৪ ই এপ্রিল) কেবল আমেরিকা, ব্রিটেন, আর জর্ডান ইজরায়েলে ইনকামিং ইরানের মিসাইল আর ড্রোন ভূপাতিত করে নাই, সৌদী আরব আর আরব আমিরাত তাদের আকাশ ব্যবহারে ইজরায়েলকে সাহায্য করেছে, সেই সাথে সাহায্য করছে মিসাইল ফ্লাইটের তথ্য দিয়ে।

অর্থাৎ, একদিকে ইরান-সিরিয়া-হেজবুল্লাহ-ইয়েমেন অফিশিয়ালি আর ইরাক অনফিশিয়লি; আর অপরদিকে ইজরায়েল, আমেরিকা, ব্রিটেন, আর তাদের মিলিটারি বন্ধু দেশগুলো, সেই সাথে আছে সৌদী আরব, জর্ডান, আরব আমিরাত।

তুরস্ক, কুয়েত, আর কাতার কাউকেই তাদের মাটি আর আকাশ ব্যবহার করে ইরানকে এট্যাক করতে দিতে এখন পর্যন্ত রাজি হয় নি, অথচ কাতারে আছে বহির্বিশ্বে অবস্থিত আমেরিকার সবচেয়ে বিরাট বিমান ঘাঁটি।

ইজরায়েল নিজেদের সাথে ইরান সহ পুরা মধ্যপ্রাচ্যকে টেনে যুদ্ধের ময়দানে নামাতে এখন পর্যন্ত বেশ এডামেন্ট। দেখা যাক বাইডেন-ঋষি সুনাক নাতনিয়াহু আর তার ওয়ার ক্যাবিনেটের মোমেন্টাম থামাতে পরে কিনা।

-সাবিনা আহমেদ

2 weeks, 1 day ago

তুর্কী প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান এবং কাতারের আমীর শেখ তামীম ফোনে কথা বলেছেন।
ইজরাইলকে থামানোর ব্যাপারে মুসলিম দেশগুলো কী কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

2 weeks, 1 day ago

একদল খুব 'বিশেষজ্ঞ' ভাব নিয়ে লিখছে- "আরেহ ভাই, ইরানের এই অ্যাটাক গাযার জন্য না, এটা ওদের কনস্যুলেট অফিসে হামলার জন্য।"
একটু বেশী বুঝে ফেলা পাবলিক আবার 'আমিই বুঝছি' ভাব নিয়ে সেটা ধুমসে শেয়ার দিচ্ছে।

এইসব বিশেষজ্ঞরা হচ্ছে সিজনের মাঝখানে এসে জয়েন করা লোকজন। যারা কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড না জেনেই কমেন্ট করে।

প্রথমত ইজরাইল কেন ইরানী জেনারেল, অফিশিয়ালসদের উপর হামলা চালালো? ইরানের কনস্যুলেট অফিসে বিমান হামলা চালালো?
কেন সৌদি আরব, জর্ডান, আরব আমীরাতের কাউকে হত্যা করেনি?
ইরান শিয়া এবং বাকী আরবদেশ গুলো সুন্নী বলে?
সুন্নীদের প্রতি ইজরাইলের এত ভালোবাসা?

আপনারা অনেকেই জানেন, যারা জানেন না, তাদের জন্য বলি। গাযায় হামাসকে পূর্ণ সহায়তা দেয় ইরান। অস্ত্র, ট্রেনিং মোটামুটি সবই তারা ইরান থেকে পায়। কাতার টাকা পয়সা দেয়। কিন্তু অস্ত্র আর অস্ত্র বানানোর ট্রেনিং ইরান থেকেই পায়। আর ইরান প্রকাশ্যেই হামাসকে সহায়তা করে। ইয়েমেন আর সিরিয়াতে ইরানের প্রক্সিগুলোও ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ, লেবাননের হিজবুল্লাহ সবাই হামাসের সমর্থনে চেষ্টা এবং হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানে হামাস বাদে বাকী গ্রুপগুলা শিয়া।
আবার ইজরাইলের পক্ষে থাকা দেশগুলা যেমন জর্ডান, আরব আমীরাত, বাহরাইন, মিশর সবাই সুন্নী। এরা কেউ ভোট দিয়ে পক্ষে থেকেছে, কেউ ভোট থেকে বিরত থেকে পক্ষে থেকেছে, কেউ ইজরাইল যাতে লোহিত সাগরের অবরোধ এড়াতে পারে, সেটাতে সাহায্য করে পক্ষে থেকেছে, কেউ এয়ার ডিফেন্স নিয়ে পক্ষে থেকেছে।

যেখানে সুন্নী দেশগুলো প্রকাশ্যে এবং গোপনে ইজরাইলের পক্ষে ছিল, সেখানে ইরান প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের পক্ষে আছে।
ফলে ইজরাইল ইরানীদের হত্যার জন্য হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের কনস্যুলেট অফিসে হামলা চালানোর পর ইরান সরাসরি ইজরাইলে হামলা চালানোর একটা লিগ্যাল চান্স পেয়ে যায়।
তাও ফুল স্কেলে তারা যেতে পারে না। সেই সামর্থ্য ইরানের নাই। প্রক্সি ওয়ার চালানোই ইরানের জন্য যুথসই। এটা ইরান হামলা চালানোর সাথে সাথেই আমি লিখেছিলাম। কারণ ফুল স্কেল ওয়ারে যাওয়া ইরানের জন্য সুইসাইডাল ছাড়া কিছু না।
শিয়া ক্ষমতায় থাকলেই দেশ ধ্বংস হবেনা, এমন কোনো নিশ্চয়তা আপনার মনে থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবে নাই। সিরিয়া এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
ইরান যেহেতু হামাস, হিজবুল্লাহর প্রকাশ্য সাহায্যকারী এবং হামাস, হিজবুল্লাহ নিয়মিত ইজরাইলকে অ্যাটাক দিয়ে যাচ্ছে। তাই ইজরাইল ইরানীদের মারছে। তাদের কনস্যুলেট অফিসে হামলা করেছে।
তো এখন ইরানের কনস্যুলেট অফিসে হামলার পর ইরান ইজরাইল ছোট করে অ্যাটাক দিল।
এখন কনটেক্সট না জেনেই আপনি যদি  "আরেহ ভাই, এটা ফিলিস্তিনে মারার কারণে নয়, ইরানের অফিসে হামলার কারণে ইরান হামলা করছে" বলেন, তাহলে নিশ্চয় আপনার মধ্যে একটা বোদ্ধা বোদ্ধা ভাব নিশ্চয় আসে। না বুঝা পাবলিক শেয়ারও দিতে পারে।
কিন্তু আপনি যে সিজনের মাঝখান থেকে জয়েন করেছেন, সেটা নগ্নভাবে দেখা যায়।

তাই হুট করে বোদ্ধা সাজতে আসবেন না। খুব বিশ্রী দেখায়।

We recommend to visit

মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।

Last updated 1 year, 1 month ago

ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in

Last updated 6 days, 13 hours ago

Facebook: https://www.facebook.com/mayraj.neo.official?mibextid=ZbWKwL
Hushup: https://hushup.app/mayraj_hossain

Last updated 1 week, 1 day ago