আমার মতে বাংলার ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ শাসক শের শাহ সূরী (রহ)। তাঁর চেয়ে সফল, তাঁর চেয়ে জনহিতৈষী কেউ এই বাংলা কখনো শাসন করেছেন কিনা আমার জানা নাই। তিনি মোঘলদের পরাজিত করেন এবং মোঘলদের চেয়ে অনেক বেশি ধার্মিক ছিলেন।

আমরা আসলে ফোকাস ঠিক রাখতে পারছি না৷ এটা একটা সমস্যা। আমাদের এখন কাজের দিকে ফোকাস করতে হবে। যেমন ধরেন আমরা প্রায়ই বলি শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহসহ দেশে মুসলিম শাসকদের তুলে ধরতে হবে। কিন্তু কাজের কাজ হলো এগুলো না বলে সরাসরি নিজেরাই দুই চার লাইন লিখে ফেলা। ইনশাআল্লাহ এখন থেকে কিছু কিছু করে লিখতে চেষ্টা করবো।

শফিক বেশ্যার বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ায় যেসব শিবির লীগ মুসলমানদের মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে জামায়াতিরা এখন পর্যন্ত কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে?

স্ত্রীর সাথে অধিকতর যৌন সম্পর্ক করুন। এটা দরকার। এতে সম্পর্ক ভালো হবে। শরীর-মন ভালো থাকবে। সন্তানরা একটা সুস্থ পরিবেশ পাবে। মেয়েরা পরকীয়া থেকে বেঁচে থাকবে। এই সব কিছু হতে পারে যদি ফজরের পরে প্রতিদিন মাত্র আধা৷ ঘন্টা দৌড়াতে পারেন।

ভাইয়েরা প্রচুর পরিমাণে খেলাধূলা করুন। সাঁতার কাটুন। শুয়ে, বসে অলস জীবন কাটানোর পরিনতি অনেক ভয়াবহ। আমাদের জেনারেশনে বহুরোগ মহামারী যা পূর্বে ছিল না। উদাহরণস্বরূপ যৌন দুর্বলতা। আমাদের তরুণরা বিছানায় প্রায়ই খুব বাজে পার্ফর্ম্যান্স করে। এটার অন্যতম প্রধান কারণ কম পরিশ্রম করায় দম কমে যাওয়া। ফলে শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়ামে অভ্যস্ত হন।

আসিফ মাহতাব উৎস স্যারকে উপদেষ্টা বানানো যৌক্তিক না। আমি তেমন দাবি করি না। তবে তাকে মূল্যায়ন করা উচিৎ।

জনগণ নয় বরং রাষ্ট্র চালায় মূলত সামরিক, বেসামরিক আমলা এবং ব্যবসায়ীরা। বিএনপি জামায়াতকে সামান্য কিছু এঁটো হাড্ডি ছেড়ে আমলাতন্ত্রে যা হচ্ছে তা আতঙ্কের। অনেক রকম ষড়যন্ত্র এবং আন্ডারটেবিল লেনদেন চলে। কিন্তু এসব নিয়ে আমাদের বিশেষ কিছু করার নাই। তবে এই মুহুর্তে আমাদের কাজ হলো যতটা সম্ভব মামলা প্রত্যাহার করানো, মামলা নিস্পত্তি করা, আহত, নিহতদের দেখাশোনা করা, দাওয়াতি কাজ করা এবং দল গোছানো। কিন্তু ঝামেলা হলো হেফাজত কিছু বলদের হাতে। বিশেষত গাছবলদ হুংকার পাগলা ওরফে সাউন্ড গ্রেনেড মামুনুল হক এর মতো মহানির্বোধ যখন হেফাজতের পোস্টার বয় হয়ে উঠে তখন হতাশ না হওয়া সত্যিই কঠিন।

আমার প্রবলভাবে সন্দেহ হচ্ছে আমেরিকা এবং ইউনুস প্রতিবিপ্লব নিয়ে লোকজনকে ব্ল্যাকমেইল করছে।

নতুন যে উপদেষ্টারা উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন তাদের তালিকা দেখে ভয় লাগে। আল্লাহ হেফাজত করুন।

হেফাজত, জামায়াত, চরমোনাইকে অনুরোধ করবো তারা যেনো শাহবাগী মিডিয়ার বিকল্প মিডিয়া তৈরিতে সিরিয়াস হন। নয়তো আগামীতে তাদের অনেক শক্ত মারা খেতে হবে।