ইন্টারের বাংলা বইতে পড়া এই ভাষণ আজকেও প্রাসঙ্গিক

"আমি যৌবনের পূজারী কবি বলিয়াই যদি আমার আপনারা আপনাদের মালার মধ্যমণি করিয়া থাকেন, তাহা হইলে আমার অভিযোগ করিবার কিছুই নাই। আপনাদের মহাদান আমি সানন্দে শির নত করিয়া গ্রহণ করিলাম। আপনাদের দলপতি হইয়া নয়, আপনাদের দলভুক্ত হইয়া, সহযাত্রী হইয়া। আমাদের দলে কেহ দলপতি নাই, আজ আমরা শত দিক হইতে শত শত তরুণ মিলিয়ে তারুন্যের শতদল ফুটাইয়া তুলিয়াছি। আমার সকলে মিলিয়া এক সিদ্ধি, এক ধ্যানের মৃগাণ ধরিয়া বিকশিত তহইতে চাই।

বার্ধক্য তাহাই-যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে, মৃত্যুকে আঁকড়িয়া পড়িয়া থাকে, বৃদ্ধ তাহারাই-যাহারা মায়াচ্ছন্ন নব মানবের অভিনব জয় যাত্রার শুধু বোঝা নয়, বিঘ্ন; শতাব্দীর নব যাত্রীর চলার ছন্দে ছন্দ মিলাইয়া যাহারা কুচকাওয়াজ করিতে জানে না, পারে না; যাহারা জীব হইয়াও জড় ; যাহারা্অটল সংস্কারের পাষাণস্তূপ আঁকড়িয়া পড়িয়া আছে। বৃদ্ধ তাহারাই যাহারা নব অরুণোদয় দেখিয়া নিদ্রাভঙ্গের ভয়ে দ্বার রুদ্ধ করিয়া পড়িয়া থাকে। আলোক পিয়াসী প্রাণ চঞ্চল শিশুদের কল কোলাহলে যাহারা বিরক্ত তহইয়া অভিসম্পাত করিতে থাকে জীর্ণ পুঁতি চাপা পড়িয়া যাহাদের নাভিশ্বাস বহিতেছে, অতি জ্ঞানের অগ্নিমান্দ্যে যাহারা আজ কঙ্ককালসার বৃদ্ধ তাহরাই। ইহাদের ধর্মই বার্ধক্য। বার্ধক্যকে সব সময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। বহু যুবককে দেখিয়াছি যাহাদের যৌবনের উর্দির নিচে বার্ধক্যের কঙ্কাল মূর্তি।

আবার বহু বৃদ্ধকে দেখিয়াছি- যাঁহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের তলে মেঘলুপ্ত সূর্যের মতো প্রদীপ্ত যৌবন। তরুণ নামের জয়-মুকুট শুধু তাহারই যাহার শক্তি অপরিমাণ, গতিবেগ ঝঞ্ঝার ন্যায়, তেজ নির্মেঘ আষাঢ় মধ্যাহ্নের মার্তন্ডপ্রায়, বিপুল যাহার আশা, ক্লান্তিহীন যাহার উৎসাহ, বিরাট যাহার ঔদার্য, অফুরন্ত যাহার প্রাণ, অটল যাহার সাধনা, মৃত্যু যাহার মুঠিতলে।"

"ইহাই যৌবন, এই ধর্ম যাহাদের তাহারাই তরুণ। তাহাদের দেশ নাই, জাতি নাই, অন্য ধর্ম নাই। দেশ-কাল-জাতি-ধর্মের সীমার ঊর্ধ্বে ইহাদের সেনানিবাস। আজ আমরা- মুসলিম তরুণেরা- যেন অকুণ্ঠিত চিত্তে মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি- ধর্ম আমাদের ইসলাম, কিন্তু প্রাণের ধর্ম আমাদের তারুণ্য, যৌবন। আমরা সকল দেশের, সকল জাতির, সকল ধর্মের, সকল কালের। আমরা মুরিদ যৌবনের। এই জাতি-ধর্ম-কালকে অতিক্রম করিতে পারিয়াছে যাঁহাদের যৌবন, তাঁহারাই আজ মহামানব, মহাত্মা, মহাবীর। তাহাদিগকে সকল দেশের সকল ধর্মের সকল লোক সমান শ্রদ্ধা করে।

পথ-পার্শ্বের ধর্ম-অট্টালিকা আজ পড় পড় হইয়াছে, তাহাকে ভাঙিয়া ফেলিয়া দেওয়াই আমাদের ধর্ম, ঐ জীর্ণ অট্টালিকা চাপা পড়িয়া বহু মানবের মৃত্যুর কারণ হইতে পারে। যে-ঘর আমাদের আশ্রয় দান করিয়াছে, তাহা যদি সংস্কারাতীত হইয়া আমাদেরই মাথায় পড়িবার উপক্রম করে, তাহাকে ভাঙিয়া নতুন করিয়া গড়িবার দুঃসাহস আছে একা তরুণেরই।"

- কাজী নজরুল ইসলাম , ১৯৩২
(আমরা সবগুলো কথার সাথে একমত নই, তবে মূলভাবের সাথে সহমত)

ফাহামের মৌলিক সমস্যা সে বুড়ো। এইরকম ভয় কি আমাদের আগে দেখানো হয়নি? লিখিস না পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, দাড়ী টুপি নিয়ে ব্যানার ধরলে ভারত জঙ্গী বলবে। এই একটা ভয়ও যদি আমলে নেওয়া হতো, জুলাই বিপ্লব হতো?

দেশ বদলে গেছে। আংকেল স্যাম চলে আসবে, দাদা চলে আসবে এইসব ভয়কে মিডল ফিঙ্গার দেখিয়েই আমরা হাসিনাকে সরালাম। দাড়ী টুপি পরে, কালেমা লেখা ব্লাক ফ্লাগ নিয়েই মিছিল হয়েছে - আমরা দেখলাম ওরা যে ভয়গুলো দেখাতো সেটা কেবলই ভয়।

জুজুর ভয় পাওয়া, বুড়ো বুদ্ধি মারানো লোকেরা লাস্ট ১৫ বছরে কী অর্জন করেছে সেটা আমরা দেখেছি।

বুড়োদের বড় সমস্যা তারা একটা টাইমলাইনে আটকে থাকতে চায়। পরিবর্তন চায় না। তরুণেরা বুদ্ধিমান -এটা মানতে চায় না। এজন্য লাস্ট কয়েক মাসে খেয়াল করুন - তরুণেরা যতবার লীগকে বিনাশ করতে চেয়েছে, লীগের লোকেরা না বরং যাদেরকে লীগবিরোধী ভাবা হতো সেইসব বুড়োরাই বাধা দিয়েছে।

এই বুড়োত্বই একটা ধর্ম। দল আলাদা হলেও ভাষা, খেলার স্টাইল সব এক।

এই বুড়োদের ঘৃণা করি।

গেরিলা যুদ্ধের দুটো বড় অ্যাসপেক্ট হলো, ইনফ্লার্টেশন (শত্রুর বাহিনীর মধ্যে মিশে যাওয়া, বিশেষ করে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের জন্য।) আর স্যাবোটাজ, মানে শত্রুর এলাকায় ঢুকে ক্ষতি করে আসা।

রনি বা চটি পিয়াল যে গেরিলা স্টাইল ফলো করার ঘোষণা দিয়েছে, এতে অলরেডি তাদের আপার হ্যান্ড রয়েছে। আওয়ামীপন্থি একটা পুলিশের চাকরি যায়নি। পুলিশের কাছ থেকে ইন্টেলিজেন্স ওরা ফ্রিতেই পাবে।

বাকি থাকে পলিটিকাল রিঅ্যাকশন। যার কিছুই হচ্ছে না। সমন্বকরা একটা পাবলিক ডিস্প্লে দুরের কথা, ফেসবুকে পর্যন্ত কিছু বলছে না, সিনেমা দেখে বেড়াচ্ছে।

মনে রাখা, গেরিলা মিশন যদি ঠিকভাবে প্লান করা হয় তাহলে এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। কিন্তু পরের মিশনের প্লানও ঠেকিয়ে দেওয়া যায় যদি আগের মিশনের জবাব ভালোমতো দেওয়া হয়।

এইখানে কিতাব ধরে ফলো করার কিছু নেই। সমান-সমান জবাব দিলে পরের মিশনে ওরা ডাবল ডাউন করবে। যা হচ্ছে এখনি তার দশগুণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। নইলে আমাদের জান বাঁচানোর প্রশ্ন।

পাভেল তাহলে নতি স্বীকার করে নিলো। টেলিগ্রামের আইপি এবং ফোন নম্বর সরকারী কর্তৃপক্ষকে শেয়ার করবে। আমেরিকার অনেক বড় খুশির দিন আজকে।

? Search on Telegram is more powerful than in other messaging apps because it allows users to find public channels and bots. Unfortunately, this feature has been abused by people who violated our Terms of Service to sell illegal goods.

? Over the last few weeks, a dedicated team of moderators, leveraging AI, has made Telegram Search much safer. All the problematic content we identified in Search is no longer accessible. If you still manage to find something unsafe or illegal in Telegram Search, please report it to us via @SearchReport.

? To further deter criminals from abusing Telegram Search, we have updated our Terms of Service and Privacy Policy, ensuring they are consistent across the world. We’ve made it clear that the IP addresses and phone numbers of those who violate our rules can be disclosed to relevant authorities in response to valid legal requests.

☝️ These measures should discourage criminals. Telegram Search is meant for finding friends and discovering news, not for promoting illegal goods. We won't let bad actors jeopardize the integrity of our platform for almost a billion users.

আমাদের জীবদ্দশায় তাহলে আরো একটা যুদ্ধের সাক্ষী হচ্ছি আমরা। আজ থেকে তৃতীয় ইস্রাইল-লেবানন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে মাত্র কয়েক ঘন্টায় প্রায় ৩০০ লেবানিজ নিহত।

এই যুদ্ধে লক্ষণীয় হবে ইসরাইলের আভ্যন্তরীণ ড্যামেজ কতটা হয়। কারণ হামাসের তুলনায় হিজবুল্লাহর অস্ত্র বেশী পাওয়ারফুল এবং সাপ্লাই লাইন ওপেন রয়েছে।

"টিম শাহজালাল" নামটা কেমন?

শাহজালালের সংগ্রাম ছিলো হিন্দু গৌড় গোবিন্দের বিরুদ্ধে। মানে একটা নাম খুঁজছিলাম, যেটা শোনামাত্রই বোঝা যাবে হিন্দুবিরোধিতা - তাত্বিক, পলিটিকাল, সন্ত্রাসী হিন্দু - সব।

চ্যানেলের ব্যাপারেঃ দেখুন, আমরা আরেকটা পাঁচমিশালি চ্যানেলে পরিণত হতে চাই না যেখানে খবর, বিনোদন, মোটিভেশন, স্যাড পোস্ট, পলিটিকাল পোস্ট - সব দলাপাঁকিয়ে থাকবে। আমরা বলেছিলাম, আমাদের তরুণদের যে সংকট সেটা ফোকাসের সংকট, ডিসিপ্লিনের সংকট। আপনি গত প্রায় দুই বছরের…