Iftekhar Jamil

Description
ইলমি আলোচনা : মুজাকারা ও মুনাকাশা
We recommend to visit

মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।

Last updated 1 year, 11 months ago

Journalist Sorwar Alam's official Telegram channel.
YouTube.com/SorwarAlam
fb.com/BanglaSAT
twitter.com/Sorwar_Alam

Last updated 2 months, 1 week ago

ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in

Last updated 3 weeks, 1 day ago

3 weeks, 3 days ago

ইজতেমাকথন

ইজতেমায় যারা যায়, তারা সবাই তাবলীগের অনুসারী—এমন বিশ্বাস রাখাটা খানিকটা কঠিন। বাঙালি প্রধানত খুবই উৎসবপ্রিয় জাতি। ভাটিঅঞ্চলে বসবাস বলে বছরের একটা দীর্ঘসময় তাদের কাটাতে হত পানিবন্দি অবস্থায় : অলস সময়ে উৎসবের নানাফন্দি আটতো বাঙালিরা। দূরের আত্মীয়দের জন্য মনখারাপ হলে লেখত গান ও গীতিকবিতা। উজানে হয়তো পীরের দরবার, সে জন্যও বাঙালির বেদনার সীমা ছিল না। এই বিরহের দিকটা না বুঝলে আপনি কখনোই বাংলাদেশী সংস্কৃতি পাঠ করতে পারবেন না।

ইজতেমা মূলত এসব উৎসবকেন্দ্রিকতার ধারাবাহিকতা। বাঙালিকে আপনি শিন্নি-জেয়াফতের দাওয়াত দেন, সে কখনো মিস করবে না। এক হাজার টাকা খরচ করে পাঁচশো টাকার খানা খেতেও সে প্রতিযোগিতা লাগিয়ে বসবে। ইজতেমা অনেকের কাছেই এখন অনেকটা পিকনিকের মত : গেলাম, থাকলাম ও খেলাম—বাঙালি পূর্বপুরুষদের আদত কাটাতে নারাজ।

ইজতেমা মূলত গড়ে ওঠেছে ওরস-মাহফিল-মজমা মডেলকে সামনে রেখেই—মানে ও পরিমাণে তুলনীয় না হলেও ইজতেমার মত মজমা বসে দেশের অনেক জায়গাতেই। মাইজভাণ্ডার-চরমোনাই-আটরশির মজমা তো খুবই বিখ্যাত। বাঙালিকে আপনি একটা খোলা মাঠে দাওয়াত দেন, থাকাখানার কষ্ট সত্ত্বেও সে এসবের লোভ ছাড়তে পারবে না। ঠিক এ কারণেই কোথাও তাবলীগের ইজতেমা বাংলাদেশের মত এতটা সফল হয় না, হবে না।

আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে তাবলীগের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রায় সবদেশেই প্রবাসী বাঙালিরা তাবলীগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের দেখে শিখে লোকালরাও। মালয়েশিয়ায় যারা গুরুত্ব দিয়ে তাবলীগ করে, তাদের অনেকেই ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলতে পারে, পাঞ্জাবি- টুপি পরে বাঙালিদের মতই। বাচ্চাদের পড়তে পাঠায় বাঙালিদের তাহফিজগুলোতে।

অবশ্য তাবলীগে উর্দুর প্রভাব বাংলার চেয়েও বেশী, তবে সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাঙালিরা কি পাকিস্তানিদের থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ? বাঙালিদের নিয়ে আপনি যতই ঠাট্টা করেন, এরা খুবই আন্তরিক। মালয়েশিয়ায় তাবলীগের ভাঙনের পরে বাঙালিরাই আলেমদের অনুসরণ করছে সবচেয়ে বেশী, পাকিস্তানিদের ভূমিকা খুবই গৌণ। এসবের প্রভাব পড়ছে প্রবাসী সমাজেও।

তাবলীগকে অনেকে ধর্মীয় অনুষঙ্গ মনে করলেও এর সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রভাবটা অনেক বড়। তাবলীগ প্রবাসীদেরকে লোকাল সমাজে প্রবেশ করতে সাহায্য করছে, পাশাপাশি লোকালদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশী ধর্মীয় সংস্কৃতি। আমার মতে তাবলীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী কালচারাল সফট পাওয়ার। এই প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশ আরও বেশী আন্তর্জাতিক প্রভাব অর্জন করবে বলে আমার বিশ্বাস।

3 weeks, 4 days ago

ইজতিমার ময়দানে কোন একটা কাজে বিদেশি কামরার ভেতরে যাওয়া সুযোগ হয়েছিল। আরব খিমার ভেতরে খানিকটা চোখু বুলাতেই মুসলিম উম্মাহর বর্তমান চিত্র চমৎকারভাবে ফুটে উঠল, বিশাল বিশাল বপু, দৌড়ঝাপ তো দূরে থাক, ঠিক মত হাঁটাচলা করাও এদের পক্ষে সম্ভব না। রীতিমত অসুস্থ্য শরীর একেকজনের, গাদা গাদা মাংস শরীরে। বোঝাই যায়, ভোগী জীবন। আরব রাষ্ট্রগুলো মার্কিনিদের হাতে সব দায়দায়িত্ব সঁপে দিয়ে যেভাবে ‘খাওয়া দাওয়ায়’ লেগে গেছে, তার একটা চমৎকার চিত্র এখানে দৃশ্যমান। আমি মনে প্রাণে চাই, দ্রুতই আরব বিশ্বের অঢেল সম্পদ ফুরিয়ে যাক, ওরা গরিব হয়ে যাক যেমন ছিল সত্তর বছর আগে। তাহলে হয়ত এদের হাতে আবারও মুসলিম উম্মাহর নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে ইজতিমায় একসাথে এতগুলো অসুস্থ্য মানুষ আরেক জায়গায় দেখা যায়, শনিবার সকাল দশটায় আলেমদের বয়ানের মজমাতে।

3 weeks, 5 days ago

দূর্বল জায়গায় আঘাত করবেন না

আমি আমেরিকান সিলেবাসে দুটি পরীক্ষা দিয়েছিলাম—জিইডি ও স্যাট। প্রথমটি উন্মুক্ত এইচএসসি, দ্বিতীয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার ধরণগুলো প্রধানত আইএলসের মত। তবে আইএলস থেকে খানিকটা কঠিন। কেননা এসব পরীক্ষায় আমেরিকান সংবিধান-সংবিধান বিতর্ক ( The Federalist Papers), আলোচিত ভাষণ-কবিতা-উপন্যাসের পাশাপাশি নিউইয়র্ক টাইমস-সাইন্টিফিক আমেরিকানের রচনা—এসব লেখা তুলে দেওয়া হয়, এসবের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এসব কারণে আমি আমেরিকান রাজনৈতিক প্রসেসটার মোটামুটি হদিস রাখি।

যেমন, লোকজন এখন দ্বিকক্ষ-ইলেক্টোরাল কলেজের কথা বলছেন। এসবের সূচনা কম জানার প্রেক্ষিতে কপি-পেস্ট করলেই যে কাজ হবে না, অনেকে এটা ধরতে পারছেন না। আদিবাসী-কালো-এশিয়ান অভিবাসীদের কথা বাদ দিতে হবে—তবে আমেরিকানরা গৃহযুদ্ধের পরে যেভাবে সমাজে ঐক্য ফিরিয়ে এনেছিল, সেটা আমার কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়। আমেরিকায় যেভাবে উত্তর-দক্ষিণের রাজ্যগুলো সম্পর্ক স্থাপন করেছিল, আপনাদের মনে করিয়ে দেই, সাউথের লোকজন পরাজিত হলেও নিজেদের আহত-নিহতদের এখনো সম্মানের সাথে স্মরণ করে। তারা এখনো সাউথের পতাকা উড়ায়, পৌনে দুইশো বছরেও তারা এখনো ক্ষতের কথা ভুলতে পারেনি।

প্রশ্ন হল, আপনারা কি ধরতে পারেন, জামাত কেন এখনো মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার কথা ভুলতে পারে না, অপরাধ স্বীকার করতে চায় না? ভাই, এটা সম্ভব নয়। আমার লেখা যারা পড়েন, তাদের জানার কথা আমি জামাত মডেলের প্রতি খুব একটা আগ্রহী না। তবে বাংলাদেশি হিসেবে আমি তাদের মুক্তিযুদ্ধ-ট্রাবলটা রিলেট করতে পারি। জামাতের পক্ষে একশো বছর পরেও ‘রাজাকার’ ঐতিহ্যকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। মানুষ একবার রক্ত দিয়ে ফেললে সেটা অস্বীকার করতে পারে না। ধরা যাক, আপনি একজন ফাঁসির আসামীর মেয়ে। আপনার বাবার যতই অপরাধ থাকুক, আপনি তাকে অস্বীকার করতে পারবেন? অপরাধের বিচার হোক, তবে সন্তানের আবেগটা নিষ্পাপ। এরশাদ শিকদারের স্ত্রী-মেয়েদের আবেগের কথা মনে আছে? তারাও কিন্তু ভুলতে পারেননি।

প্রশ্ন হল, আমাদের জনগণের মধ্যে এসব বোঝাপড়া গ্রো করলো না কেন? আমার মতে এর কারণ আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে অসততার পরিমাণ অনেক বেশী। আমরা ফেয়ার লড়াইয়ে অংশ নিতে চাই না। জামাতের ত্রুটিও কম নয়। জামাত ইসলামের একটা নতুন মডেল প্রচার করতে চেয়েছে। যেটা জনগণের অনেকেই হজম করতে পারেনি। সাংস্কৃতিক বিভক্তির কারণে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। কওমি হুজুররা কেন কোন তবে-কিন্তু ছাড়াই জামাতকে পছন্দ করে না? আপনি ব্যাখ্যা দিতে চাইলে তারা ঠিকমত জবাবও দিতে পারবে না। কিন্তু আপনাকে তিক্ততার গোঁড়াটা ধরতে জানতে হবে। গ্রামের ইমামকে, হুজুরকে আপনি বলে বসবেন, আপনার ইসলাম তো ‘আধুনিক’ না, এই যুগের উপযুক্ত না—তারা এই আঘাতটা সহ্য করতে পারবে না। সে দশ হাজার টাকা বেতনে যে অতীতটা নিয়ে বসে আছে, যে স্বপ্নটা সে প্রতিদিন দেখতে চেষ্টা করে। ছাত্রদের আগলে রাখে সাত রাজার ধনের মত। আপনি এই আবেগ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন না।

আমরা কেউই ফেরেশতা না, আমরা দোষে-গুণে মানুষ—কখনোই কারো দুর্বল জায়গায় আঘাত করবেন না

3 weeks, 5 days ago

অশুভ চক্র

কয়েক মাস আগে একটা সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম। টপিক ছিল আলজেরিয়া-মালয়েশিয়ায় মুসলিম পারিবারিক আইনের চর্চায় নারীদের প্রসঙ্গ। আমার কাঁধে ছিল ইন্টারপ্রিটেশনের দায়িত্ব—আরবি থেকে ইংরেজি/ইংরেজি থেকে আরবিতে অনুবাদ করছিলাম। এই দুই দেশেই পারিবারিক আইন নিয়ে ভালো পরিমাণ কাজ হয়েছে, নতুন নতুন সংস্কার-পলিসি যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনজিও-নারীবাদীদের কাঁধে। আলেম/আলেমা দূরে থাকুক, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বলয়ের বাইরের কাউকে রাখা হয়নি। কী পরিমাণ হাস্যকর কল্পনা করা যায়? যা হবার তাই হয়েছে, নারী অধিকার বিষয়টাই একটা ধর্ম-অধর্ম তর্কে রুপান্তরিত হয়েছে।

3 weeks, 5 days ago

ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া

অন্তর্বর্তী সরকারের নারী কমিশন মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের সুপারিশ করেছে। এই ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারলো? নারী কমিশনে সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি, তাই এমনটা ঘটতে পারলো। আপনার মতামত যাই থাকুক, এটা যে একটা স্টুপিডিটি, সেটা কি আপনারা ধরতে পারেন? বাংলাদেশের কোন মুসলিম পক্ষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক উত্তরাধিকার আইন মানানোর সুপারিশ জীবনেও করবে না।

প্রশ্ন হল, নারীদের ফুটবল খেলা বন্ধ করতে লোকজন উদ্যোগ নেয় কেন, সেটা কি আপনারা এখন ধরতে পারছেন? আপনাদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক বোঝাপড়া নাই-সম্পর্ক নাই-সমঝোতা নাই, আন্তর্জাতিক চাপের কথা বলে আপনারা সমাজের একাংশকে পলিটিকাল সিস্টেম থেকে বের করে দিতে পারবেন। যাদেরকে বের করে দিয়েছেন, তারা যে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। মহামতি নিউটন বলেছিলেন, প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে।

বাইদাওয়ে, গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস। ভালো থাকুক আমাদের নারীরা

3 weeks, 5 days ago

কমিশন পুনর্গঠিত হোক

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিল করতে সুপারিশ করা নারী কমিশনে একজনও হিজাবি বা নিকাবি নেই। তাহলে এটা ইনক্লুসিভ হল কীভাবে? তারা পাহাড়ি নারীকে রেখেছেন, বাম নেত্রীদেরকেও রেখেছেন। শুধু তাই নয়, মামলা খাওয়া হাসিনার ঘনিষ্ঠ আমলার বউকেও রেখেছেন। তারা ভাবছেন, তারা দেশের সব ক্যাটাগরির উপস্থিতি নিশ্চিত করে ফেলেছেন : এনজিও + পাহাড়ি + শ্রমিক + আওয়ামীলীগ। বাংলাদেশের টিপিকাল নারীবাদীরা দেশকে কীভাবে কল্পনা করে, সেটা সহজেই ধরা যায়। এই ইস্যুতে সরকার বিব্রত হোক, সেটা আমরা কোনভাবেই চাই না। এই কমিশককে অবশ্যই পুনর্গঠন করতে হবে।

3 weeks, 6 days ago

ইজতেমায় কেন যাবেন?

সময় করতে পারলে একবেলা টঙ্গি ইজতেমা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। মানসিক-আধ্যাত্মিক মনোভাব পরিবর্তনে পরিবেশের ভূমিকা অনেক বড়—সাগর-নদী-পাহাড় দেখলে আপনার মন খুশিতে ভরে ওঠে, মসজিদে গুনাহের চিন্তা আসে না, অন্ধকার ঘরে বসে থাকলে মনে ছড়িয়ে যায় অবসাদ। যদি দলবদ্ধভাবে যেতে পারেন, তবে সবচেয়ে ভালো হয়। একসাথে খাওয়া-ঘুরার আনন্দের তুলনা হয় না।

তাবলিগ নিয়ে অনেকের মনেই অনেক রকমের প্রশ্ন আছে।

ক) তাবলিগ কোন ধর্মীয় বিবাদকে 'প্রমোট' করে না, আপনি যে চিন্তারই হোন, তাবলিগ আপনাকে 'জাজ' করবে না।

আপনি কওমি মাদরাসার ভেতরে গেলে আহলে হাদিস-জামাতের সমালোচনা-পর্যালোচনা আকছার পাবেন, তবে তাবলিগকে এসব বিতর্ক থেকে দূরে রাখা হয়। মতাদর্শিক পরিচয় নিয়ে মাদরাসার সাথে সম্পর্ক রাখা সহজ নয়, তবে তাবলিগে এসব কিছুই গুরুত্বহীন, আপনি মুসলমান এটাই সবচেয়ে বড় কথা। তাই মালয়েশিয়ান তাবলিগে শাফেয়ী নিয়মে মাসায়েল বলা হয়, সৌদিতে সালাফি ধারায় মৌলিক 'আকিদা-মাসায়েল' আলোচনা করা হয়।

খ) তবে আধুনিক মানুষের জন্য তাবলিগকে 'হজম' করা অনেকক্ষেত্রে সহজ নয়।

তাবলিগে যারা যান, তারা অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। খুবই সাধারণ তাদের কথাবার্তা। তাবলিগের ওয়াজ-কিতাবের ভাষা-কল্পনা প্রাচীনপন্থী—কারামাত-অলৌকিকতার গল্প ছড়িয়ে থাকে তাবলিগের পদে পদে। যারা দুনিয়াকে নিছক কজ এন্ড এফেক্টে ভাবতে অভ্যস্ত, যাদের মনে বসে আছে বৈজ্ঞানিক ভাষা-যুক্তি, তাদের অনেকের কাছে তাবলিগের অলৌকিক ভাষা-গল্পে অস্বস্তি লাগবে, এটা সত্য। তবে আপনি যদি আরও গভীরভাবে ভাবতে শিখেন, বৈজ্ঞানিক দর্শনের সাথে পরিচিত হন, তবে ধরতে পারবেন, আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অনেককিছুই 'লৌকিক' নয়। আমাদের ভাব-ভালোবাসা-ধর্ম কোনকিছুই নিছক বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে আবদ্ধ নয়, ফজরের নামাজ কেন দুই রাকআত, এর কি কোন যৌক্তিক উত্তর আছে?

তবে ইসলাম ধর্মে কুরআন-হাদিসের বাইরে অলৌকিকতার ভিত্তিতে কোন হুকুম-বিধান গ্রহণের সুযোগ নেই। বিধান গ্রহণ না করলেও আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কি অলৌকিকতা নেই? সৌন্দর্য-নৈতিকতা-ইতিহাসের গভীরে গেথে আছে অলৌকিকতা। ঘুম কেন জরুরী, সেই আলোচনা আপনি করতেই পারেন, একে নাম দিতে পারেন বৈজ্ঞানিক চিন্তা। তবে আপনি তো আলোচনা করে ঘুমকে বেছে নেননি। চিন্তা করার আগেই আপনি ঘুমাতে শিখে যান। এটা কি অলৌকিকতা নয়?

ইজতেমা আমাদেরকে অলৌকিক জগতের কাছাকাছি নিয়ে যাক

3 weeks, 6 days ago

কেন শাপলা-শাহাবাগ বিকল্প রাজনীতি নয়?
শাপলা-শাহাবাগ আন্দোলনকে বিকল্প রাজনীতি হিসেবে না দেখে রাজনৈতিক মুহূর্ত হিসেবেই দেখাই ভালো। নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মুহূর্তগুলো তৈরি হয়, প্রেক্ষাপট ফুরালে মুহূর্তগুলোর কার্যকারিতা কমে যায়। বিষয়গুলো আরেকটু ব্যাখ্যা করে যাক।

ক) বাংলাদেশে বাহাত্তর (মুজিববাদ), বিরানব্বই-চুরানব্বই (ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি), দুই হাজার (ফতোয়া নিষিদ্ধের রায়), দুই হাজার তেরো (যুদ্ধাপরাধ-ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ)—এই চার পর্বকে শাহবাগি মুহূর্ত হিসেবে আখ্যা দেওয়া যায়। বিরানব্বই-চুরানব্বই (বাবরি মসজিদ-তসলিমা), দুই হাজার (ফতোয়া আন্দোলন), দুই হাজার তেরো (শাপলা চত্বর), দুই হাজার একুশ (ভাস্কর্য-ভারত খেদাও) কে আখ্যা দেওয়া যায় শাপলা মুহূর্ত হিসেবে। প্রশ্ন হল, কেন প্রেক্ষাপট পাল্টে গেলে এসব মুহূর্তের কার্যকারিতা কমে যায়?

খ) শাপলা/হেফাজতকে নিছক কওমি আন্দোলন হিসেবে দেখা যাবে না। জামায়াত তো ছিলই, পাশাপাশি ইসলামি আন্দোলন ও আহলে হাদিসরাও শাপলা চত্বরে অংশ নিয়েছিল। জেনারেল শিক্ষিতরা যোগ দিয়েছিল হুজুরদের সাথে। প্রেক্ষাপট পাল্টে গেলে আপনি এদেরকে কোনভাবেই এক করতে পারবেন না। এদের স্বপ্ন-পরিকল্পনাও আলাদা। স্বপ্ন-পরিকল্পনা ভিন্ন হলে জোর করে সবাইকে এক করাও কঠিন। কাজেই, প্রেক্ষাপট পাল্টে গেলে রাজনৈতিক মুহূর্তগুলোর গুরুত্ব/কার্যকারিতা কমে যায়।

গ) শাহাবাগিদের সাথে আওয়ামীলীগের মিল-অমিল দুটোই রয়েছে। ধর্মীয় শক্তিগুলোকে যদি বিপদে ফেলা যায়, রাজনীতি থেকে সরিয়ে রাখা যায়, বিএনপিকে বিব্রত করা যায়, তবে বৈদেশিক শক্তিগুলোর পাশাপাশি সুশীল সমাজ-দূতাবাসকেও খুশি রাখা সম্ভব—তাতে আওয়ামীলীগের জন্য ক্ষমতার রাজনীতিটা সহজ হয়ে যায়। সম্পর্ক থাকলেও শাহাবাগিরা প্রধানত পেইড এজেন্টস/ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি, আওয়ামীলীগের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য থাকলেও তারা প্রধানত একটা দুর্নীতিবাজ-অপরাধী চক্র অর্থাৎ শাহাবাগিদের মধ্যে আদর্শের দিকটা বেশী, আওয়ামীলীগের মধ্যে বেশী দুর্নীতি-অপরাধ। আদর্শ-অপরাধের মিলনের মাধ্যমেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ/জাহেলিয়াত কায়েম হয়েছিল।

ঘ) শাহাবাগি আদর্শ কি শেষ, দুর্নীতি-অপরাধও কি বিদায় নিয়েছে? অবশ্যই না। তবে মাত্রা কমে যাবার প্রেক্ষিতে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রতিরোধ আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাটা কমে গেছে। শাহাবাগ-আওয়ামীলীগ ব্যস্ত নতুন ষড়যন্ত্র নিয়ে, ধর্মীয় শক্তিগুলো ব্যস্ত নতুন পরিকল্পনায়। পরবর্তী লেখায় আমি ষড়যন্ত্র-পরিকল্পনা বিষয়ে আলোকপাত করবো।

4 weeks ago
ষড়যন্ত্র থামে নাই

ষড়যন্ত্র থামে নাই

4 weeks ago

বিজ্ঞানের রাজনৈতিক ব্যবহার

রেড মিট খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর, এটাই তো আমরা জানি, তাইনা? হিন্দুত্ববাদী পক্ষগুলো বলার চেষ্টা করে, ধর্ম মানার দরকার নেই, বৈজ্ঞানিকভাবেও গরুর গোশত খাওয়া ভালো নয়। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, রেড মিট স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ, এই তত্ত্বটি অত শক্তিশালী কিছু নয়। কয়েকদিন আগে বলেছিলাম, আমাদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক লিটারেসি বাড়ানো দরকার।

কেননা বিজ্ঞানের নাম করে এখন অনেকেই নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করেন। দ্বিমত করলে বা না মানতে চাইলে হাসিঠাট্টা থেকে শুরু করে আইনি চাপও প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়। এর ভালো দৃষ্টান্ত হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব। এমন একটা বর্ণবাদী ও অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব গেলানো হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে, আমাদের কমিউনিটি স্বাস্থ্যব্যবস্থার অনেক রিসোর্স এর পেছনে চলে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব জালিয়াতির ক্ষেত্রে ধর্ম হলে ঠিকই গালিগালাজ করতেন, বিজ্ঞান গ্রহণে কেন আরও সতর্ক হবেন না?

সতর্ক হওয়া বা বৈজ্ঞানিক লিটারেসির মানে কেউ বৈজ্ঞানিক গবেষণার যুক্তি দিলে সেটা যাচাইয়ের ক্ষমতা। তত্ত্বটি রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, কোন মেথডে প্রমাণ করা হয়েছে, সেটা অনুসন্ধানের চেষ্টা। এটা না হলে আগামীদিনে আমাদের বিপদ বাড়বে। কারণ অনেকেই দেখি আজকাল বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে আমাদের আচার-ব্যবহার-আমল-আখলাক পরিবর্তন করতে চান। আপনি নিশ্চয় একমত হবেন, রেড মিট খাওয়া খারাপ, এটা সম্ভবত ধর্মীয় অনেক মাসায়েলের চেয়েও বেশীবার শুনেছেন।

We recommend to visit

মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।

Last updated 1 year, 11 months ago

Journalist Sorwar Alam's official Telegram channel.
YouTube.com/SorwarAlam
fb.com/BanglaSAT
twitter.com/Sorwar_Alam

Last updated 2 months, 1 week ago

ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in

Last updated 3 weeks, 1 day ago