শাইখ ড. সালিহ আল-ফাওযান হাফিযাহুল্লাহ

Description
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ 'উলামা পরিষদ ও স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফক্বিহ, ফাদ্বীলাতুশ-শাইখ, আল-'আল্লামাহ, আল-ইমাম ড. সালিহ বিন ফাওযান বিন 'আব্দিল্লাহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)
We recommend to visit

EXPOSING হিন্দুধর্ম ও উগ্র হিন্দুত্ববাদ!
— ধর্ম ও ইতিহাস আলোচনা

Last updated 2 months, 1 week ago

প্রয়োজনীয় পিডিএফ ও ব্যক্তিগত নোট

Last updated 2 months ago

কথিত "সত্যের" পেছনের সত্যের খোঁজে

Last updated 1 year, 4 months ago

1 month ago
সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের …

সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফক্বীহ, শাইখ সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)-কে একজন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেন:
السؤال: بعض الناس يجالسون أهل البدع والأحزاب والجماعات المخالفة، ويستمر معهم السنين الطوال، وإذا قيل لهم لا تجالسوهم، قال هذا من باب الدعوة لكي أرجعهم إلى الحق، فما حكم هذا العمل؟
◻️ প্রশ্নঃ কিছু মানুষ বিদআতী ও বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী দলের সাথে উঠা-বসা করে। এভাবে তারা তাদের সাথে দীর্ঘ বছর কাটিয়ে দেয়। তাদেরকে যখন বলা হয় তোমরা তাদের সাথে উঠা-বসা করো না। তখন তারা বলে, এটি একটি দাওয়াত দেওয়ার উপকরণ। যাতে করে তাদেরকে সত্যের দিকে ফিরিয়ে আনতে পারি। এ ধরনের কাজের হুকুম কী?
الجواب: أول شيء الحكم بأنهم مبتدعة يحتاج إلى علماء، لأن بعض الإخوان يبدع الناس وهو ما عنده معرفة، كل من خالفه قال أنت مبتدع فإذا ثبت أنهم مبتدعة، فإن كان عندك علم أنت عندك علم، وكان جلوسك معهم فيه مصلحة لأجل أن تدعوهم إلى الله، بشرطين أولا يكون عندك علم ثانيا أن ترى أن لك تأثيرا عليهم في أن تجلس معهم هذا من الدعوة إلى الله، أما يا أخي إذا كان ما عندك علم، أو عندك علم لكن ما ينفع فيهم شيء، ويعاندون، هؤلاء لا تجلس معهم لأنهم لا يريدون الحق.
◻️ তিনি জবাবে বলেন: “যদি কোন ব্যক্তি আলেম হয় এবং বিদআতীদের সাথে উঠা-বসা করার মাঝে কল্যাণ নিহিত থাকে; যে সে তাদেরকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিবে, তাহলে এটি দুটি শর্তসাপেক্ষে করা যাবে। (১) এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ইলম থাকতে হবে। (২) তাদের সাথে বসে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিয়ে তাদের মাঝে প্রভাব ফেলতে হবে। কারণ এটিই আল্লাহর পথে দাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য। আর যদি এ বিষয়ে (ইলম) জ্ঞান না থাকে এবং তাদের (বিদআতিদের) মাঝে প্রভাবের কোনো আশঙ্কা না থাকে তাহলে তাদের সাথে উঠা বসা করা যাবেনা। কেননা তারা কখনো সত্যকে চায় না। ফলে তাদের সাথে বসেও লাভ নাই।
🎙 ইউটিউব : https://youtu.be/695V4fYeaSg?si=Uqft1qyu7Z7dnACm

2 months, 4 weeks ago

শাইখ সালিহ আল ফাওযান (হাফি.) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল:
প্রশ্ন: সুফি কারীদের সুরের মাকামাতের উপর কুরআন তিলাওয়াত করার হুকুম কি?
نعوذ بالله من ذلك. لا يجوز قراءة القران بالالحان و جعلها اغاني ،المقامات هذه للاغغاني عند الصوفيه. و لا يجوز قراءة القران عليها ، ولا يجوز اتخاذ القران اغاني و انما يتلى القران كما كانا النبي ﷺ وصحابته و اهل العلم يتلونه اما ان يتلى كما تتلوه الصوفية والمبتدعة و المغنين هذا حرم
(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) আমরা তা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
সুর দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করা এবং সেটাকে গানে পরিণত করা জায়েয নয়। এই মাকামাত হচ্ছে সুফিদের নিকটে গান (গানের শিল্পীদের মত তথাকথিত সুফি কারীদের আটটি সুরের স্টাইল আছে। সেই আটটি সুরের স্টাইলকে মাকামাত বলা হয়।)
আর তার উপর কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েয নয় এবং কুরআনকে গানের মতো করে বেছে নেওয়া জায়েয নয়, বরং কুরআনকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর সাহাবীগণ এবং আহলুল ইলমগণ সেভাবে তিলাওয়াত করতেন সেভাবে তেলাওয়াত করতে হবে কিন্তু যদি সে তেলাওয়াত করে সুফী, বিদয়াতী এবং গায়কদের মতো তাহলে তা হারাম।
অনুবাদ: ইকরামুজ্জামান রুকন ✍️

3 months ago

প্রিয় দীনের প্রচারকগণ! আপনারা ইখলাস অবলম্বন করুন।

শাইখ সালিহ আল ফাওযান বলেন:

«...فبعض الناس، إذا لم يُمدَح ويُشَجَّع  ترك الدعوة، وهذا دليل على أنه لا يدعو إلى الله، وإنما يدعو إلى نفسه...»

"... কতিপয় লোক এমন আছে - যখন তাদের প্রশংসা না করা হয় অথবা অনুপ্রেরণা না দেওয়া হয়, তখন তারা দাওয়াতী কাজ ছেড়ে দেয়। এটাই তাদের বিরুদ্ধে দলিল যে: তারা আল্লাহর দিকে লোকদেরকে দাওয়াত দেয় না, বরং নিজেদের দিকে দাওয়াত দেয়।"

[ইয়ানাতুল মুস্তাফিদ, ১/১০২]

4 months, 1 week ago
প্রশ্নকারী জানতে চাচ্ছে, মদিনার নির্ধারিত হারাম …

প্রশ্নকারী জানতে চাচ্ছে, মদিনার নির্ধারিত হারাম অঞ্চলে কোনো অমুসলিম ব্যক্তির প্রবেশের ব্যাপারে হুকুম কি?? উত্তর: কোনো অসুবিধা নেই৷ তাদের জন্য সেখানে প্রবেশে কোনো অসুবিধা নেই। তাদেরকে শুধুমাত্র মক্কার মসজিদে হারাম এর নির্ধারিত স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধ…

4 months, 1 week ago

প্রশ্নকারী জানতে চাচ্ছে, মদিনার নির্ধারিত হারাম অঞ্চলে কোনো অমুসলিম ব্যক্তির প্রবেশের ব্যাপারে হুকুম কি??

উত্তর: কোনো অসুবিধা নেই৷ তাদের জন্য সেখানে প্রবেশে কোনো অসুবিধা নেই। তাদেরকে শুধুমাত্র মক্কার মসজিদে হারাম এর নির্ধারিত স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহর বাণী: " নিশ্চয়ই মুশরিক বা বহুত্ববাদীগণ (আত্মিকভাবে) অপবিত্র। কাজেই, তারা যেন এই বছরের পর মসজিদে হারামের নিকটবর্তী না হয়। " (সূরা তওবাহ, আয়াত ২৮)

মদিনার হারাম অঞ্চলের ক্ষেত্রে বলা যায়, তারা (অমুসলিম) রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে প্রবেশ করতেন এমন সময়ে যখন তিনি মসজিদের ভিতরে, অর্থাৎ মসজিদে নববীর ভিতরে ছিলেন। এবং যখন তারা সেখানে প্রবেশ করতেন, তাদের কোনো বাধা ছিলো না।

শাইখ সালিহ আল ফাওযান

4 months, 2 weeks ago

শাইখ সালিহ আল ফাওযান তার লিখিত বইয়ে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি হলো: এক ব্যক্তি নিজে নিজে সহিহুল বুখারী পড়া শুরু করলো। এভাবে পড়ার এক পর্যায়ে সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস: " কালিজিরা (আল হাব্বাতুস সাওদা) হলো প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক কেবল মৃত্যু ব্যতীত "-এ পৌঁছালো। কিন্তু সে হাদিসটি আরবী উচ্চারণ করতে গিয়ে "আল হাব্বাতুস সাওদা" (কালিজিরা) এর বদলে "আল হাইয়াতুস সাওদা" (কালো সাপ) পড়ে ফেললো। কিন্তু যেহেতু তার কাছে এমন কেউ ছিলো না যে তার এই ভুলটিকে ঠিক করে দিবে, কাজেই সে বাজারে গিয়ে সাপুড়ের কাছ থেকে একটি কালোসাপ কিনলো, তারপর সেটিকে হত্যা করে খাবার হিসেবে গ্রহণ করলো। কিন্তু এতে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সে মারা গেল।
যদি সে কোনো আলিমের দারস্থ হতো, তাহলে তার ভুলটি শুধরে নিতে পারতো। কাজেই আহলুল ইল্মদের দারস্থ না হয়ে একাকি কিতাব অধ্যয়ন এর একটি নেতিবাচক ভয়ংকর দিক আছে।
● [طرق تعلم العلم ص ١٠]

4 months, 2 weeks ago

প্রশ্ন: আমি ইবনে আরাবী এবং ইবনুল আরাবী এই দুইজন ব্যক্তি কে কেন্দ্র করে অস্পষ্টতায় আছি। আমি আশা করছি, আপনি এই দুই ব্যক্তির মধ্যকার পার্থক্য এবং তাদের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ লেখনীর ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে আমাদেরকে অবগত করবেন।
শাইখ সালিহ আল ফাওযান:
এই ২ জন ব্যক্তির মধ্যকার পার্থক্য সুস্পষ্ট। ইবনু/ইবনে আরাবী, যার নামের মধ্যে 'আল' শব্দাংশটি নেই, সে হলো এমন এক সুপরিচিত যিন্দিক যে ওয়াহদাতুল ওজুদ বা সর্বেশ্বরবাদী আক্বীদাহ-য় বিশ্বাসী ছিল এবং সে ছিলো কট্টরপন্থী সুফিদের মধ্যে অন্যতম, যারা ইলহাদ বা নাস্তিকতার দিকে ধাবিত হয়েছিলো। আর ওয়াহদাতুল ওজুদ বা সর্বেশ্বরবাদের মূলকথা হলো স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।এবং তার এই আক্বীদাহ অনুসারে, সমস্ত অস্তিত্বশীল বস্তুই হলো আল্লাহ।
অন্যদিকে ইবনুল আরাবী, যার নামের মধ্যে 'আল' শব্দাংশটি আছে, তিনি হলেন সুপরিচিত, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন একজন ইমাম। তার পুরো নাম আবু বকর ইবনুল আরাবী আল মালিকি। হাদীস এবং তাফসীরশাস্ত্রে তার রয়েছে মহামূল্যবান লেখনী, এবং নবী ﷺ এর সাহাবীদের ডিফেন্ড করে লেখা তার একটি মহান গ্রন্থ হলো: আল আওয়াসিম মিনাল কাওয়াসিম।তিনি উক্ত গ্রন্থে ইসলাম, রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীদের মর্যাদাকে বুলন্দ করেছেন। কাজেই এটি একটি মহান বই। এছাড়া তার আরও একটি বিখ্যাত বই আছে যার নাম: তাফসীরু আয়াতিল আহকাম, এই বইটি ২ টি বিশাল খণ্ডে লিখিত। আর তিনি সুনাতুত তিরমিযি-র ব্যাখ্যাগ্রন্থও লিখেছেন, যার নাম আরিদাতুল আহওয়াযী ফি শারহিত তিরমিযি। উপর্যুক্ত সবগুলো বই ই প্রকাশিত হয়েছে এবং এগুলো সহজলভ্য, ওয়াল হামদুলিল্লাহ।
অতএব, এই ২ জন ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল সমান ব্যবধান। তাদের মধ্যে একজন (ইবনু আরাবী আল হাতিমি আত তাঈমী) ছিলেন পথভ্রষ্ট কাফির, আর অন্যজন (আবু বকর ইবনুল আরাবী) ছিলেন মহান, মর্যাদাবান ইমাম যিনি ইল্মী বিশুদ্ধতা, বিস্তর ইল্ম এবং তাকওয়ার জন্য প্রসিদ্ধ ।
উৎস: আল মুনতাকা মিনাল ফাতাওয়া আশ শাইখ সালিহ আল ফাওযান।

4 months, 2 weeks ago
শাইখ ড. সালিহ আল-ফাওযান হাফিযাহুল্লাহ
4 months, 3 weeks ago

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর বাণী- "তুমি কি লোকদেরকে ফিতনায় ফেলতে চাচ্ছো, হে মু'আয?" এর প্রেক্ষাপট কি?

4 months, 3 weeks ago

"ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে কোনো সুপথপ্রাপ্ত খলিফার অস্তিত্ব কি সম্ভব? " নাকি খিলাফতের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে এবং আমরা মাহদীর অপেক্ষায় থাকব??"

We recommend to visit

EXPOSING হিন্দুধর্ম ও উগ্র হিন্দুত্ববাদ!
— ধর্ম ও ইতিহাস আলোচনা

Last updated 2 months, 1 week ago

প্রয়োজনীয় পিডিএফ ও ব্যক্তিগত নোট

Last updated 2 months ago

কথিত "সত্যের" পেছনের সত্যের খোঁজে

Last updated 1 year, 4 months ago