🏷️ For paid promotion : @Abshab77
Last updated 1 month, 2 weeks ago
EXPOSING হিন্দুধর্ম ও উগ্র হিন্দুত্ববাদ!
— ধর্ম ও ইতিহাস আলোচনা
Last updated 1 month, 1 week ago
কথিত "সত্যের" পেছনের সত্যের খোঁজে
Last updated 1 year, 3 months ago
দুর্গা পূজার সূচনাই শুধু তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে নয় বরং এই পূজার যাবতীয় বিধিবিধান ও পালনেরে রীতিও রয়েছে। দূর্গা পূজা কয়েক দিনে হয়, একেকদিনে রয়েছে ধর্ম পালনের একেকটি রীতি এবং সে রীতিগুলোকেই কেন্দ্র করে হয় একেকটি অনুষ্ঠান। একদিন পালন হয় কুমারী পূজা, সর্বশেষ প্রতিমা বিসর্জন। দূর্গা পূজা মোট পাঁচদিন হয়। একেকদিন তাদের একেকটি ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করেই পালন হয়। যেমন, দুর্গা পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন থেকে। মনে করা হয় যে, শরৎকালে দুর্গা পুজোর সূচনা করেছিলেন রাম। রাবণকে পরাজিত করার জন্য দশভূজার আশীর্বাদের কামনায় তিনিই এ সময় দুর্গা পুজো করেন। বোধনের মাধ্যমেই দুর্গাকে আবাহন করা হয়। ষষ্ঠীর দিনে এ ছাড়াও আরও অন্যান্য অনেক নিয়ম-আচার পালিত হয় ও সকলকে রীতিনীতি মেনে দুর্গার আরাধনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হন। অষ্টমীর সমাপ্তি ও নবমীর সূচনার সন্ধিক্ষণে সন্ধিপুজো হয়। এই সময় দুর্গা চণ্ড-মুণ্ড বধের জন্য তাঁর চামুণ্ডা স্বরূপ ধারণ করেন। এ সময় ১০৮টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। এককালে এদিন পশুবলি দেওয়া হত, তবে বর্তমানে সবজি বলি দেওয়া হয়। অঞ্জলি- পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে দুর্গার প্রতি নিজের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন ভক্তরা। সাধারণত সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিনদিনই পুষ্পাঞ্জলি হয়, তবে অষ্টমীর অঞ্জলিকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের পর হাতে ধরে থাকা ফুল-পাতা মহিষাসুরমর্দিনীর চরণে অর্পণ করার রেওয়াজ আছে।
উৎসবের একেকটি বিষয় আর পালনের একেকটি রীতি ধর্মীয় বিধিনিষেধ ও পদ্ধতিনুযায়ী চলছে। সুতরাং কেউ যদি বলে অমুসলিমদের ঈদগুলো তাদের ধর্মীয় প্রতিক নয় বরং এগুলো একটি সামাজিক কালচার তাহলে তার কথার কোনো ধর্তব্য হবে না। কেননা, প্রত্যেক ধর্মে ঈদ স্বয়ং সে ধর্মের ধর্মীয় বিধিনিষেধে পূর্ণ একটি শিয়ার বা প্রতিক হয়ে থাকে যা আমরা সংক্ষেপে উপরে আলোচনা থেকে স্পষ্ট দেখতে পেলাম। তাই তা সামাজিক দৃষ্টিতে পালন করুক বা কালচার হিসেবে, এসব ধোকাপূর্ণ কথা কোনো ধর্তব্য নেই। ধরুন, কোনো ইউরোপিয়ান গলায় ক্রুশ ঝুলিয়ে এসে বললো সে তা ধর্মীয় কারনে পড়েনি, বরং ফ্যাশন হিসেবে পড়েছে তাহলে তা কী কোনো মুসলিমের জন্য ব্যবহার করা জায়েয হয়ে যাবে? হবে না, কারণ ক্রুশ সত্তাগতভাবেই কুফরের একটি প্রতীকী। চাই তা যে উদ্দেশ্যেই পড়া হোক তার কোনো ধর্তব্য এখানে হবে না।
পূজা বা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও তাতে শুভেচ্ছা জানানো থেকে বিরত থাকার জন্য একজন মুমিনের এতটুকু জানাই যথেষ্ঠ ছিলো—এসব কুফরের শিয়ার বা প্রতীকী। কিন্তু বড় দুঃখজনক এক সময় আমরা অতিবাহিত করছি। ঈমান-কুফরের স্পষ্ট সীমারেখা থাকার পরেও আজ পশ্চিমের তৈরি উদারতার সবক আমাদের মাথায় এমনভাবে ঢুকেছে যে, উদারতার নামে আমরা সে সীমানা অতিক্রম করছি। আজ হাজারো মুসলিম অমুসলিমদের মুর্তি-প্রতিমা ও সেগুলোর উৎসবে অংশগ্রহণ করছে। কুফরি শব্দ দিয়ে একে অপরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে! এমন দুঃখভরা দৃশ্য যখন একজন নবির ওয়ারিসের অন্তর বিধির্ণ করে যায়, মুসলমানদের এমন ধ্বংসের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা করবে সে চিন্তায় বিভোর হতে হয় তখন একদল আলেম শ্রেণী কুফরের এই সয়লাব থেকে উম্মাহকে রক্ষার বদলে বলে বেড়াচ্ছে, এসকল অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ ও এতে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতে ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই। এগুলো মূলত সামাজিকতার একটি অংশ। আর ইসলাম তো সবচেয়ে বেশি সামাজিক ধর্ম!
একদিকে পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার ফলে আমাদের মুসলিম মনে উদারতার নামে কুফরের বিষ রোপন করা হচ্ছে, অন্যদিকে এসকল আলেম শ্রেণীর এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে বহু দ্বীন পালনে সচেষ্ট মানুষও বিভ্রান্ত হচ্ছে। তার থেকেও বড়, ইসলামের একটি স্পষ্ট বিধানে বিকৃতি সাধন হচ্ছে যা বড় ভয়ংকর রূপ ধারণ করে মানুষের ঈমানকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে যাচ্ছে। তাই এবিষয়টি কুরআন-সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরাম ও ফুকাহায়ে উম্মাতের বক্তব্যের আলোকে স্পষ্ট করে বুঝা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে ইসলামের স্পষ্ট বিধানটির দলিলগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। আল্লাহ তাওফিক দাতা।...
(বিস্তারিত দেখুন, মুসলিম অমুসলিম সম্পর্ক; সীমারেখা ও বিধিবিধান, মুফতি উবাইদুর রহমান মারদান, অনুবাদ আব্দুল্লাহ বিন বশির)
অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও তাতে শুভেচ্ছা জানানো
আব্দুল্লাহ বিন বশির
সূত্র: মুসলিম অমুসলিম সম্পর্ক; সীমারেখা ও বিধিবিধান পৃ. ১৫৯
(চেতনা প্রকাশন)
শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদ শুধুই কোনো সামাজিক প্রথা নয় বরং তা হলো প্রত্যেক ধর্মের শিয়ারের অন্তর্ভুক্ত ও সেই দিনগুলো পালনের থাকে বিভিন্ন ধর্মীয় বিধিনিষেধ। মুসলিমদের ঈদ দুটোকেই আমরা যদি দেখি, এই দুই ঈদে রয়েছে মুসলমানদের জন্য ধর্মের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিধান। একটি মৌলিক বিধান তো হলো উভয় ঈদেই একজন মুমিনের জন্য রোজা রাখা নাজায়েয। আল্লাহর পক্ষ থেকে এদিনে উত্তম খাবার খাওয়া ও খাওয়ানোর উৎসাহিত করা হয়েছে। ঈদুল ফিতর যেটাকে আমরা রোজার ঈদ বলি, এদিনকে কেন্দ্র করেও রয়েছে অসংখ্য বিধান, ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর, একটি বিশেষ পদ্ধতিতে ঈদের নামাজ পড়া, খুতবা শোনা, উত্তম পোষাক পড়া ইত্যাদি। অপরদিকে ঈদুল ফিতর যাকে কুরবানির ঈদ বলা হয়, সেদিনের তো রয়েছে তাওহিদের অন্যতম শিক্ষা আল্লাহর মহিমে পশু জবাইয়ের বিধান। এখন মুসলিমদের দীর্ঘ এই চৌদ্দশত বছরের ইতিহাসের কালপরিক্রমায় যদি মুসলিমরা এই দিনদুটোকে শুধুই সামাজিক প্রথা হিসেবে পালন করে তাহলে কী এটাকে শুধুই সামাজিক প্রথা বলার কোনো সুযোগ কী রয়েছে? কস্মিনকালেও নয়।
ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু: ৭২৮ হি.) এখানে বড় চমৎকার বলেছেন,
« أن الأعياد من جملة الشرع والمناهج والمناسك، التي قال الله سبحانه {لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ} [الحج: 67] كالقبلة والصلاة والصيام، فلا فرق بين مشاركتهم في العيد وبين مشاركتهم في سائر المناهج، فإن الموافقة في جميع العيد، موافقة في الكفر. والموافقة في بعض فروعه: موافقة في بعض شعب الكفر، بل الأعياد هي من أخص ما تتميز به الشرائع، ومن أظهر ما لها من الشعائر، فالموافقة فيها موافقة في أخص شرائع الكفر، وأظهر شعائره، ولا ريب أن الموافقة في هذا قد تنتهي إلى الكفر في الجملة بشروطه». (اقتضاء الصراط المستقيم في أصحاب الجحيم 1/528، فصل في الأعياد، النهي عن موافقتهم في أعيادهم بالاعتبار)
ঈদ (বা ধর্মীয় উৎসব পালন করা) ধর্মীয় বিধিবিধান ও ধর্ম পালনের মৌলিক পদ্ধতি ও রীতিনীতিরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন, প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি ইবাদতের একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছি যার অনুসরণ তারা করে। (সূরা হাজ্জ: ৬৭) এটারই বিভিন্ন রূপ হলো, কিবলা, নামাজ, রোজা ইত্যাদি। সুতরাং, কাফেরদের ঈদ-উৎসবসমূহে অংশগ্রহণ করা এবং তাদের অন্যান্য ধর্মীয় রীতিনীতি ও বিধানাবলীতে অংশগ্রহণের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। এজন্য, অমুসলিমদের ঈদের (উ্ৎসবের) সকল বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করার অর্থ হলো তাদের পুরো কুফরির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা, আর তাদের ঈদের (উৎসবের) কিছু বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করা করা মানে কুফরের কিছু শাখার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা। বরং, বাস্তবতা হলো, ঈদ উৎসবসমূহই হলো বিভিন্ন ধর্ম ও শরীয়তের অন্যতম বৈশিষ্ট্য যার মাধ্যমে এক ধর্ম আরেক ধর্ম থেকে পৃথক হয় এবং বিভিন্ন ধর্মের অন্যতম বড় বাহ্যিক ও সুস্পষ্ট নিদর্শন । আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এক্ষেত্রে কাফেরদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা শেষ পর্যন্ত (শর্তসাপেক্ষে) ব্যক্তিকে কুফরের দিকেই নিয়ে যায়।
অমুসলিমদের ধর্মের মধ্যে এদেশে প্রসিদ্ধ দূর্গা পূজার উদাহরণ আমরা দেখতে পারি। নওমুসলিম আবুল হোসেন ভট্টাযার্চ লেখেন, “স্কন্দ পুরানের বর্ণনা থেকে জানা যায়—ভগবান রামচন্দ্র রাবণ বধের নিমিত্ত শরৎকালে দূর্গা দেবীর অর্চনা করে ছিলেন। এ থেকে শরৎকালে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেবী ভাগবতের বর্ণনায় প্রকাশ, রম্ভ নামক অসুরের পুত্র মহিষাসুর পর্বতে অযুত বর্ষকাল কঠোর তপস্যায় রত হয় এবং “পুরুষ জাতীয় কোনো জীব মহিষাসুরকে বধ করতে পারবে না”—ব্রহ্মার নিকট থেকে এ বর লাভ করে। এ বর লাভের পরে সে ভীষণভাবে দুর্মদ হয়ে ওঠে এবং দেবতাদের স্বর্গরাজ্য দখল করে নেয়। অনন্যোপায় হয়ে দেবতারা সাহায্যের জন্য বিষ্ণু ও শিবের নিকটে সমবেত হয়। তখন দেবতাদের তেজ থেকে দেবী ভগবতী (দূর্গা) উৎপন্ন হয়ে মহিষাসুরকে বধ করে।…
সম্প্রতি কুয়েত সফরকালে 'গুজরাটের কসাই' খ্যাত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা দিয়েছে কুয়েত সরকার। রবিবার ( ২২ ডিসেম্বর) তাকে মোবারক আল কাবির বা মুবারক দ্য গ্ৰেট উপাধি দেয়।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) কুয়েতের আমির মেশাল আল আহমেদ আল জাবির এই সম্মাননা প্রদান করে। ওইসময় কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলো।
এই সফরকালে কুয়েতের বয়ান প্যালেসে হিন্দুত্ববাদী এই প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ অভ্যার্থনা জানানো হয়।
গত ৪৩ বছরে প্রথমবারের মতো কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কুয়েত সফর করলো।
ওয়াহ মোল্লা ওমর ওয়াহ! আল্লাহ আপনার কবরকে নূর আর নূর দিয়ে ভরিয়ে দিক।
.
ইসলামি শাসনব্যবস্থার মৌলিক একটি বিধান হলো, দারুল ইসলামে মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে পোশাকে পার্থক্য রাখা। যাতে মুসলিম-অমুসলিমদের যে আলাদা বিধান রয়েছে তা তাদের উপর প্রয়োগ করা যায়।
মোল্লা ওমর রহিমাহুল্লাহ ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ইসলামের এই বিধানটি বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে তা আর সম্ভব হয়নি। কারণ বৈশ্বিক তাগুতরা এর আগেই আফগানে আক্রমণ করে বসে।
সূত্র: সে সময়ের তালেবান মুখপাত্র আব্দুল হাই মুতমায়িনের লিখিত বই 'আলমুল্লা ওমর, তালেবান ওয়া আফগানিস্তান'
.
দারুল ইসলামে অমুসলিম পোষাকের ভিন্নতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার অনূদিত 'মুসলিম-অমুসলিম সম্পর্ক; সীমারেখা ও বিধিবিধান' বইটি দেখতে পারেন।
বইটি প্রকাশ হয়েছে চেতনা প্রকাশন থেকে।
মিশরীয় ইসলামী চিন্তাবিদ ডক্টর মুহাম্মাদ ইমারাহ বলেন- এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত একজন সেক্যুলার আলোচক আমাকে সম্বোধন করে তির্যক ভাষায় বললেন-
ডক্টর মুহম্মাদ! আপনার লেখাজোকা থেকে আমি কি এই খোলাসায় পৌঁছাতে পারি— আপনি ইসলামী শরী'আহ বাস্তবায়নের নামে আমাদের ‘বহুযুগ পেছনে’ নিয়ে যেতে চান?
উত্তরে আমি উৎসাহ নিয়ে বললাম-
জনাব, আপনি ‘বহুযুগ পেছনে’ বলে কি ১০০শ বছর পেছনের কথা বলছেন— যখন সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ অর্ধ-পৃথিবী শাসন করতেন? নাকি সে সময়ের কথা বলছেন, যখন ইউরোপের রাজা-মহারাজারা উসমানি খলিফার ফরমান নিয়ে নিজেদের দেশ শাসন করতেন?
নাকি আপনি মামলুক সুলতানদের শাসনামলের কথা বলছেন— যারা পুরো মানববিশ্বকে মুঘল ও তাতারি হিংস্রতা থেকে রক্ষা করেছিলেন?
নাকি আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের শাসনামলের কথা বলছেন, যিনি রোমান সম্রাট নাকপুরকে প্রজাদের সাথে অমানবিক নিষ্ঠুর আচরনের প্রতিবাদে লিখেছেন— ‘আমিরুল মুমিনিন হারুনুর রশিদের পক্ষ থেকে রোমান কুকুর নাকপুরের প্রতি’?
নাকি আরেকটু পেছনের কথা বলতে চেয়েছেন, যখন আবদুর রহমান আদ-দাখিলের বিশাল সৈন্যবাহিনী ইতালি ও ফ্রান্স অবরোধ করে রেখেছিলেন?
এসব তো রাজনৈতিক ‘বহুযুগ পেছনে’র কথা বললাম, আর যদি জ্ঞানের জগতের কথা বলেন, তাহলে আপনার কাছে সবিনয়ে জানতে চাইব—
আপনি কি ‘বহুযুগ পেছনে’ বলে সে সময়ের কথা বলতে চেয়েছেন— যখন ফারাবি, ইবনে জুবাইর, খাওয়ারেজমি, ইবনে রাশিদ, ইবনে খলদুনরা বিশ্ববাসীকে চিকিৎসা-বিজ্ঞান, প্রকৌশল বিজ্ঞান, ভূগোল ও জোতির্বিজ্ঞান ইত্যাদির শিক্ষা দিতেন?
নাকি আপনি ‘বহুযুগ পেছনে‘ বলে— সে সময়ের কথা বলতে চেয়েছেন, যখন মুসলিম স্পেনের অধিবাসীরা পৃথিবীর বুকে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যাদের শিক্ষা-সমাপ্তির ট্রাডিশন ( convocation) আজও ‘সভ্য!’ পৃথিবী ধারণ করে আছে। দুনিয়ার সকল পরবর্তী প্রতিষ্ঠান সেইসব মাদরাসাতুল উলুম আল- জামেয়ার অনুকরণীয় রুপ!
আপনি কী দয়া করে বলবেন, কেন এখনো গ্রাজুয়েশন সংবর্ধনা-অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ‘স্কোয়ার অ্যাকাডেমিক হ্যাট’ পরে থাকে? কারণ মুসলিম স্পেনের শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশনের সময় এই হ্যাটের ওপরের অংশে পবিত্র কোরআন রাখতেন! এভাবেই "শিক্ষার জন্য এসো সেবার ব্রত নিয়ে বেরিয়ে যাবার" শপথ নিতেন!
আপনি একজন মিশরীয়; আচ্ছা আমাকে বলুন তো— আপনি ‘বহুযুগ পেছনে’ বলে কি সে সময়ের কথা বলতে চেয়েছেন, যখন কায়রো ছিল পৃথিবীর সুন্দরতম ও মনোরম নগরী?
নাকি সে সময়ের কথা বললেন, যখন একটি ইরাকি দিনারের মূল্যমান ছিল ৪৮৩ ডলার? কিংবা সে সময়ের কথা বললেন, যখন ইউরোপ থেকে পলাতক জ্ঞানীরা মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে আশ্রয় নিতেন?
নাকি বহুদূর পিছিয়ে নেয়ার জন্য তখনকার কথা বললেন, যখন আমেরিকা মিশরের কাছে অনুরোধের দরখাস্ত নিয়ে এসেছিল— অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা ইউরোপীয়দের জীবনহন্তুক দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা করতে?
অনুগ্রহপূর্বক, আমাকে একটু জানাবেন— ইসলামি শরীয়াহ বাস্তবায়িত থাকা যুগের ঠিক কতটুকু পেছনে গেলে আপনি খুশি হবেন? আপনার সেই উত্তর জানার অপেক্ষায় থাকলাম আমি!
মুর্খ কথিত সেক্যুলার তখন ‘অসহায় চোখে’ মুসলিম মনীষীর মুখের দিতে চেয়ে রইলেন। অপলক নেত্রে। তাকিয়েই থাকলেন!
সংগৃহীত।
অভিশপ্ত ইহুদিরা এভাবেই "গাজা"-তে তোমার ভাইদের "দুর্দশা" নিয়ে উপহাস করে। আবার এই একই লোকেরা বলে,সিরিয়াতে "সন্ত্রাসিদের" নিয়ন্ত্রণের পর আমরা "নারীদের" অবস্থা এবং "মানবাধিকারের" বিষয়ে উদ্বিগ্ন। আল্লাহর লানত তোদের ওপর,হে অভিশপ্তরা!
একটি আরবী চ্যালেন থেকে
অনুবাদ: মাওলানা ফাদলুল্লাহ জাবের
সিরিয়ার নতুন সরকার। অনেক উদ্বেগ থাকলেও আল্লাহর কাছে আমরা সিরিয়া ও শামের জন্য কল্যাণের দোয়াই করি। ইনশাআল্লাহ এত এত কুরবানি বিফলে যাবে না
সৌদি ভিত্তিক মিডিয়া 'আলআরাবিয়্যাতে' কিছুদিন আগে খারেজি দায়েশের হাতে শহিদ হওয়া খলিলুর রহমান হক্কানির শাহাদাত নিয়ে বিশেষ সাক্ষাতকার দেন তার ভাতিজা আনাস হক্কানী। সাক্ষাতটি খলিল হক্কানির ব্যক্তিত্বের দিকটি খুব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষত, তার সাধামাটা জীবন ও রহমদিলের বিষয়টি।
তালেবানদের পরষ্পরের মাঝে মতানৈক্য আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আনাস হক্কানী 'ইখতিলাফ' ও 'খিলাফ' সংক্রান্ত শাস্ত্রীয় যে ভঙ্গিতে উত্তর দিয়েছে তা শুনে দিল ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। মাশাআল্লাহ, আল্লাহ এদেরকে শক্তিশালী করুক এবং উম্মাহের সাহায্য দ্রুত এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমীন।
কুয়েতের হাম্বলি মাজহাবের বিশিষ্ট আলেম ড. মুতলাক আল জাসির হাফিজাহুল্লাহ সিরিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশেষত, সেখানের সেকুলার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যারা আরবী বুঝেন শুনতে পারেন।
🏷️ For paid promotion : @Abshab77
Last updated 1 month, 2 weeks ago
EXPOSING হিন্দুধর্ম ও উগ্র হিন্দুত্ববাদ!
— ধর্ম ও ইতিহাস আলোচনা
Last updated 1 month, 1 week ago
কথিত "সত্যের" পেছনের সত্যের খোঁজে
Last updated 1 year, 3 months ago