Toha

Description
Official Telegram Channel of Mozammel Hossain Toha
Advertising
We recommend to visit

মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।

Last updated 1 Jahr, 9 Monate her

Journalist Sorwar Alam's official Telegram channel.
YouTube.com/SorwarAlam
fb.com/BanglaSAT
twitter.com/Sorwar_Alam

Last updated 1 Tag, 14 Stunden her

ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in

Last updated 4 Wochen, 1 Tag her

1 Monat, 2 Wochen her

লেবাননে যুদ্ধ করা বাংলাদেশীদেরকে নিয়ে টিবিএস একটা ফিচার করেছে। এরকম ছোটখাটো ফিচার অবশ্য বেশ কয়েকটা আছে। কিন্তু কারও উচিত বড় আকারে এটা নিয়ে কাজ করা।

এই টপিকটা নিয়ে আমার বেশ ইন্টারেস্ট ছিল। ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা Navid Hossain ভাইয়ের সাথে কিছুদিন কথাবার্তা হয়েছিল। উনি এরকম এক যোদ্ধার সাথে কথাও বলেছিলেন। তার গল্প আমার সাথে শেয়ার করেছিলেন। বেশ ইন্টারেস্টি। ঐ যোদ্ধার দাবি অনুযায়ী গেরিলা ক্যাম্পে আরাফাতের সাথেও তার দেখা হয়েছিল। আরাফাত সম্ভবত তার পিঠ চাপড়ে দিয়েছিল; মনে নাই পুরোপুরি।

এ ধরনের টপিক নিয়ে সিরিয়াস করার কাজ করার জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অনুকূলে থাকা লাগে। গত সরকারের আমলে সেটা ছিল না। এক সাংবাদিক ফ্রেন্ডের সাথে কথা হয়েছিল, উনি জাসদের বড় কোন এক নেতার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন।

সেই নেতা সে সময় লেবাননে যোদ্ধা পাঠানোর সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু গত সরকারের সময় এই ব্যাপারে কথা বলা তো দূরের কথা, উল্টো সে তাকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল। স্বৈরাচারের দোসর জাসদ নিশ্চিতভাবেই এখন আর ফিলিস্তিন কজকে ঔন করে না। বরং পারলে তাদেরকে জঙ্গি ট্যাগ দেয়।

বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। তারপরেও কেউ যদি এই টপিকটা নিয়ে জাস্ট মার্কেট ধরার জন্য না, সিরিয়াসলি একটা বড় আকারের বই লিখতে চায়, তাহলে তাকে প্রচুর কষ্ট করতে হবে। ফিল্ডে থাকতে হবে। প্রচুর ঘোরাঘুরি করতে হবে। গ্রামেগঞ্জে গিয়ে যোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নিতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা, সাবেক এই গেরিলাদের অনেকেরই এখন অসহায় অবস্থা। তাদের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে, ছবি সংগ্রহ করতে গেলে কিছু টাকা-পয়সাও খরচ করতে হবে। এত কষ্ট করার পর বই বিক্রি থেকে যে টাকা আসবে, তাতে পোষাবে না।

তারপরেও আমি স্বপ্ন দেখি, কেউ একজন এই টপিকটা নিয়ে বই লিখবে। এই স্মৃতিগুলোকে ইতিহাসে স্থান দিবে। এই যোদ্ধাদের অভিজ্ঞতা, তাদের অনুপ্রেরণা, তাদের অনুভূতি, তাদের পরবর্তী জীবন, এবং সবচেয়ে বড় কথা, তাদেরকে সেখানে পাঠানো রাজনীতিবিদদের আসল উদ্দেশ্য এবং পরবর্তী জীবনে তাদের পরিবর্তন - সবকিছুই তুলে ধরবে।

1 Monat, 3 Wochen her

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটা আমার কাছে মুসলমানদের জন্য অনেকটা সেই ক্লাসিক্যাল "ট্রলি প্রবলেম"-এর মতোই মনে হচ্ছে।

যারা জানেন না, ট্রলি প্রবলেম হচ্ছে একটা হাইপোথেটিক্যাল এথিক্যাল প্রবলেম, যেখানে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে একাধিক মানুষকে বাঁচাতে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে একজনের নিশ্চিত ক্ষতি করবেন কি না।

সমস্যাটা এরকম, ধরেন, একটা ট্রলি (বা ট্রাম, বা ট্রেন) গতি হারিয়ে এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে যে আপনি কিছু না করলে লাইনের উপর দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচজন মানুষ নিশ্চিতভাবে মারা যাবে।

এখন, আপনি বসে আছেন কন্ট্রোল রুমে, যেখানে আপনার শুধু একটা লিভার টানার ক্ষমতা আছে। ঐ লিভার টানলে ট্রলিটা অন্য ট্র্যাকে চলে যাবে, ফলে ঐ পাঁচজন মানুষ বেঁচে যাবে, কিন্তু নতুন ট্র্যাকে দাঁড়িয়ে থাকা একজন মানুষ নিশ্চিতভাবে মারা যাবে।

এখন আপনি কী করবেন?
১। কিছুই করবেন না, ফলে ট্রলিটা পাঁচজনকে চাপা দেবে।
২। লিভারটা টেনে ট্রলিটাকে অন্য ট্র্যাকে নিয়ে একজনকে হত্যা করে পাঁচজনকে বাঁচিয়ে দিবেন।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। গতবার ট্রাম্পের আমলে জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়া, আনরার ফান্ডিং কমিয়ে দেওয়া-সহ অনেকগুলো আনপ্রিসিডেন্টেড পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এবার সম্ভবত আরও ভয়াবহ কিছু হবে। পশ্চিম তীরে চলমান এথনিং ক্লিনজিং আরও গ্রীন সিগন্যাল পাবে, জেরুজালেম এবং আকসার উপর আক্রমণ হবে, এবং এরফলে সম্ভবত সেখানেও গাযার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।

কিন্তু তাই বলে কি হ্যারিসকে ভোট দেওয়া যায়, যেই বাইডেন-হ্যারিস এই গণহত্যায় পুরোপুরি শুধু সমর্থন না, অস্ত্র সরবরাহ, ভেটো প্রয়োগ-সহ সব ধরনের টুল ব্যবহার করে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে?

সামি হামদি, ইয়াসির ক্বাদি এবং শাদি মাসরিদের মতো ইসলামিক স্কলার/অ্যাক্টিভিস্টরা কোনো পক্ষকেই ভোট না দিয়ে থার্ড পার্টি (গ্রীন পার্টিকে) ভোট দেওয়ার কথা বলছেন। যদিও এই থার্ড পার্টির জেতার সম্ভাবনা জিরো, কিন্তু অ্যাটলিস্ট এতে নিজের হাত রক্তে রঞ্জিত হবে না। অ্যাটলিস্ট এতে একটা ম্যাসেজ যাবে। এটা হচ্ছে অনেকটা ট্রলি প্রবলেমে কিছুই না করার মতো অবস্থান।

অন্যদিকে মেহদি হাসান - যদিও ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রচণ্ড ভোকাল, কিন্তু পরিষ্কারভাবেই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে - তার বক্তব্য, এত বড় গণহত্যার পরেও মুসলমানদের কামালা হ্যারিসকেই ভোট দেওয়া উচিত, কারণ ট্রাম্প আরও খারাপ। এটা হচ্ছে অনেকটা ট্রলি প্রবলেমের পাঁচজনকে বাঁচানোর জন্য একজনকে হত্যা করার মতো অবস্থান।

যদিও আমাদের অবস্থানে কিছুই আসে-যায় না, দিন শেষে আমেরিকার মুসলমান সিটিজেনদের একটা বড় অংশ তাদের নিজেদের স্বার্থ বিবেচনা করেই ভোট দিবে, কিন্তু নীতিগতভাবে আমি নিজের হাত রক্তে রঞ্জিত না করারই পক্ষে। তাতে আরও বেশি রিস্ক থাকলেও।

1 Monat, 4 Wochen her

এক মতিভাইয়ের পরিবর্তে রিপোর্টটা যদি অন্য মতিভাই করত, তাহলে এই সুযোগে কন্সপিরেসির অভিযোগে চুপ্পুর পাশাপাশি ঐ মতিভাইকেও জয় বাংলা করে দেওয়া যেত। একটুর্জন্যপার্পেয়েগেল। স্যরি।

কেউ চাইলে ঐ মতিভাইয়ের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এই মতিভাইয়ের ছবি পুড়িয়ে আসতে পারে। অতীতে এরকম ঘটনা অনেক ঘটেছে। সার্ফ এক্সেলের উপর ক্ষেপে গিয়ে ইন্ডিয়ানরা একসময় মাইক্রোসফট এক্সেলের রেটিং ১ করে দিছিল। কোন ক্লাসের বইয়ে যেন জোনায়েদ আল-বাগদাদীর ছবির জায়গায় আবু বকর আল-বাগদাদীর ছবি ছাপায় দিছিল। এরকম বিনোদনের দরকার আছে মাঝে মাঝে 😎

4 Monate, 1 Woche her

গাদ্দাফির পতনের কিছুদিন পর এক লিবিয়ানের সাথে কথা হচ্ছিল। লোকটা গাদ্দাফির ট্রাইবের, এবং সিরত শহরের অধিবাসী, যে শহরটা ছিল গাদ্দাফির লাস্ট স্ট্যান্ড।

কথা প্রসঙ্গে সে জানালো, যেদিন গাদ্দাফিকে ধরা হয়েছিল, সেদিন নাকি সেও গাদ্দাফির কনভয়ে ছিল। উপর থেকে যখন ন্যাটো বম্বিং শুরু করে, তখন লাস্ট মুহূর্তে সে পালিয়ে বাঁচে।

শুনে আমি বেশ মুগ্ধ হলাম। কারণ গাদ্দাফির সাথে শেষপর্যন্ত মাত্র শ'দুয়েক মানুষ ছিল। এদের অর্ধেক গাদ্দাফির কাছের মানুষ, বাকি অর্ধেক নিবেদিত প্রাণ স্বেচ্ছাসেবী। এরকম একটা কনভয়ের অংশ হতে পারাটা, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও শেষদিন পর্যন্ত গাদ্দাফির সাথে থাকতে পারাটা বিশাল ব্যাপার।

পরদিন অফিসে গিয়ে খুব আগ্রহ নিয়ে লোকটার কাহিনী কলিগদের সাথে শেয়ার করলাম। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ওরা সবাই হাসতে লাগলো।

কাহিনী কী? একজনে উত্তর দিলো, তুমি এই প্রথম এরকম মানুষের দেখা পেলা? আমরা তো প্রতিদিনই এই ধরনের মানুষের দেখা পাই। সিরতের অর্ধেক মানুষই দাবি করে, সেদিন তারা গাদ্দাফির সাথে ছিল।

এটা হচ্ছে একটা চিত্র। বিপরীতটাও সত্য। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যারা লড়েছিল, তাদেরও মূল সংখ্যাটা ছিল ছোট। কিন্তু গাদ্দাফির পতনের পর এরা সবাই থোওয়ার (বিপ্লবী) বনে যায়। পুরো যুদ্ধের সময় যারা ঘাপটি মেরে ছিল, তারাও গাদ্দাফির পতন নিশ্চিত হওয়ার পর মাঠে নামে এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে নিয়ে একটা করে "কাতিবা" (ব্রিগেড) গঠন করে, যেন নতুন দেশের সব অন্যায় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়।

লিবিয়ানরা এদেরকে বলে, থোওয়ার আশরিন-আশরা। অর্থাৎ ২০/১০-এর বিপ্লবী। ২০/১০ হচ্ছে ২০শে অক্টোবর। গাদ্দাফির পতনের তারিখ।

কাজেই বাংলাদেশেও যদি ভবিষ্যতে ৫ আগস্টের বিপ্লবীদেরকে সব ক্রেডিট দাবি করতে দেখা যায়, অবাক হবো না। এরকমই ঘটে।

যারা জেনুইনলি মাঠে নামে, তাদের অনেকেই মারা যায়, আহত হয়। বাকিরা লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার পর ঘরে ফিরে যায়। অনেকে যেই আশা নিয়ে নেমেছিল, সেটা অর্জিত হতে না দেখে হতাশ হয়ে পড়ে। টিকে থাকে সুবিধাবাদীরা। বা প্রফেশনাল পলিটিশিয়ানরা।

4 Monate, 1 Woche her

গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়াতে দুই বিয়ের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে হয়তো সর্বোচ্চ চার বিয়ের ধুম পড়বে। কিন্তু এরকম ক্যালেঙ্কারিয়াস পরিস্থিতি যে হবে, সেটা স্বপ্নেও আশা করি নাই।

পোলাপান চার না, পাঁচ না, ছয়ও না; একেবারে সাত কন্যার দিকে কুদৃষ্টি দিচ্ছে। তাও আবার একই পরিবারের সাত বোনের দিকে। ছিঃ আমরা কি এরকম স্বাধীনতা চেয়েছিলাম?

4 Monate, 1 Woche her

১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার কিছু নাই। ঐ হত্যাকাণ্ডে নারী-শিশুকেও হত্যা করা হয়েছিল।

তাছাড়া, ওরকম একটা হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল বাংলাদেশের জন্য ভালো না হয়ে খারাপ হয়েছে কি না, হাসিনা কি ঐ হত্যাকাণ্ডের কারণেই সাইকোপ্যাথে পরিণত হয়েছিল কি না, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে, বাঙালিকে ঘৃণা করতে শুরু করেছিল কি না, এগুলোও চিন্তা করার বিষয়।

সবচেয়ে বড় কথা, ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড জনগণ ঘটায়নি। ঘটিয়েছে কতিপয় সেনা অফিসার। তাদের উদ্দেশ্য কতটা জনকল্যাণ ছিল, আর কতটা পার্সোনাল প্রতিশোধপরায়ণতা ছিল, এগুলোও আলোচনার বিষয়।

এসব কিছু মিলিয়ে ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডে আমি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু খুঁজে পাই না। বরং আমার মনে হয়, সামরিক অভ্যুত্থানের তুলনায় গণআন্দোলনে সরকারের পতন হওয়া এবং ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারকে হত্যা না করে এরপর বিচারে তুলতে পারাটা দীর্ঘমেয়াদের জন্য বেটার। তাতে রক্তপাত কিছুটা বেশি হলেও।

কিন্তু এর বিপরীতে ১৫ই আগস্ট নিয়ে যে কাঁদো বাঙালি কাঁদো প্রজেক্ট চালু হয়েছিল, সেটাও সমর্থন করার কিছু না। এইসব বাড়াবাড়ির পরিণতি আমরা দেখেছি - হায় মুজিব, হায় মুজিবের মতো হাস্যকর আহাজারি থেকে শুরু করে শোকের নামে হিন্দি গান বাজানো, এমন কিছু নাই, যা এই কয় বছর হয়নি।

এবং সবচেয়ে বড় কথা, শেখ মুজিবকে ৭১-এর পর, বাংলাদেশের "স্বাধীনতা এনে দেওয়ার" পর হত্যা করা হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছিল সে স্বৈরাচার হয়ে ওঠার পর। তার হাত বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হওয়ার পর। সুতরাং এরকম বিতর্কিত লিগ্যাসির একজন রাষ্ট্রনায়কের এবং তার পরিবারের মৃত্যুর শোক আমাদের "জাতীয় শোক" হতে পারে কি না, সেটাও ভ্যালিড প্রশ্ন।

তারপরেও, শান্তিপূর্ণভাবে যদি ক্ষমতার পালাবদল হতো, এবং এরপর যদি বিএনপি বা জামাত এসে ১৫ই আগস্টের ছুটি বাতিল করত, তাহলে আমি হয়তো সেটার বিরোধিতাই করতাম। অনেক কিছু অন্যায় এবং অনুচিত হলেও সবসময় বাতিল করার সংস্কৃতি খুব একটা ভালো ফলাফল দেয় না।

কিন্তু এবার সেটা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেনি। ঘটেছে শতশত মানুষের রক্তের বিনিময়ে। এবং এরফলে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, জুলাই মাসে যে শতশত নিরাপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে, যে শতশত মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, তাদের সম্মিলিত শোক অবশ্যই একটা পরিবারের শোকের চেয়ে বেশি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই ১৫ই আগস্টকে জাতীয় শোকদিবস রাখার এবং ছুটি বহাল রাখার কোনো অর্থ হয় না। এটা বহাল রাখলে সেটা হতো পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের নামে বিপ্লবের প্রতি অসম্মান।

আমাদের জাতীয় শোকদিবস হতে হবে জুলাই মাসের কোনো একদিন। প্রেফার‌্যাবলি, জুলাই মাসের ১৯ তারিখ।

4 Monate, 2 Wochen her

নিরপেক্ষতা বা সমতা এবং ন্যায়বিচার এক জিনিস না।

বিএপনির সমালোচনা অবশ্যই করা হবে। অনেক এলাকায় বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এগুলোর প্রতিবাদ অবশ্যই করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসার পর এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিএনপি যদি ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার চেষ্টা করে, সেটা শুরুতেই ঠেকিয়ে দিতে হবে।

আমি নিজেও বিএনপির সমালোচনা শুরু করেছি। গতকালই বিএনপির সমালোচনা করে বানানো শাহেদ আলমের ভিডিও শেয়ার দিয়েছে।

কিন্তু এই মুহূর্তে যেটা চলছে - যেই সাইকোপ্যাথ মাত্র দুই দিন আগেই শতশত মানুষকে খুন করে, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, ইনস্টিটিউশনগুলো ধ্বংস করে পালিয়ে গেছে, তার বিরুদ্ধে যতটুকু সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে যতগুলো মিম, ক্যারিকেচার, তার চেয়ে মৃত্যুপথযাত্রী এক মহিলার ভ্রু নিয়ে বেশি ট্রোল, বেশি মিম, বেশি ক্যারিকেচার, এটা কোনোভাবেই "নিরপেক্ষতা" না, সমালোচনার "সমতা" না।

এটা শিয়ার ইনজাস্টিস। এবং এটা একইসাথে খুবই অস্বাভাবিক। বিশেষ করে রক্তের দাগ যখনও শুকায় নাই, হত্যাকাণ্ডগুলোর যখনও বিচার হয় নাই, নিখোঁজদের যখনও খোঁজ পাওয়া যায় নাই, রাস্তায় বাস্তবে যখনও হাসিনার রেজিমের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ পুরোপুরি প্রশমিত হয় নাই, সেখানে ফেসবুকে যখন সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যায়, সেটা খুবই অস্বাভাবিক।

এটা হাসিনার রেজিমের ডীপ স্টেটের পাওয়ারকেই ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ। এটা প্রতিবিপ্লবের প্রচেষ্টার অংশ।

আপনি যদি মনে করেন, বিপ্লবের পর কেউ প্রতি-বিপ্লবের চেষ্টা করছে না, যেই মিলিটারি ডীপ স্টেট এত বছর ধরে শতশত কোটি টাকা কামিয়েছে, গুম-খুনের নেতৃত্ব দিয়েছে, এখন বিপ্লব সফল হলে তাদের সব অর্জন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, যাদের ফাঁসিতে ঝোলার সম্ভাবনা তৈরি হবে, তারা প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে, তাহলে আপনি বাস্তবতা বোঝেন না।

সোশ্যাল মিডিয়া অনেক সময়ই আপনি নিয়ন্ত্রণ করেন না। এখানে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রাষ্ট্রের ডীপ স্টেটের, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কোর্ডিনেটেড প্রচেষ্টা চাইলেই বিভিন্ন পেজ থেকে রসালো, ইন্টারেস্টিং পোস্ট দিয়ে অনেক কিছুকে ভাইরাল করতে পারে। এবং এখানে সেটাই হচ্ছে।

এর উদ্দেশ্য কী? বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সাথে একই মাত্রার অপরাধী প্রমাণ করা। এমনভাবে করা, যেন "আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত - কোনোটাই চাই না, সবগুলো নিষিদ্ধ করা হোক" টাইপের ন্যারেটিভকে জনপ্রিয় করা যায়। এবং এর মাধ্যমে যেন বিএনপির ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করে ডীপ স্টেটের স্বার্থ রক্ষাকারী কাউকে ক্ষমতায় আনা যায়।

এই সময়ে সবচেয়ে সতর্ক থাকতে হবে এই প্রচেষ্টাগুলোর বিরুদ্ধে। না, আপনি বিএনপিকে না চাইতেই পারেন - ইউ হ্যাভ এভ্রি রাইট। নির্বাচনের আগে যদি সমন্বয়করা রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে, আপনি তাদেরকেই ভোট দিয়েন। কিন্তু বিএনপিকে ভিলিফাই করার মধ্য দিয়ে যেন হাসিনার শাসনামলে গজিয়ে ওঠা ডীপ স্টেটের লোকেরা ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখতে হবে।

4 Monate, 2 Wochen her

আরিফ আজাদ ভাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এবং আগামী দিনগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এ ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করে একট পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি আরও কয়েকজনের পাশাপাশি আমাকেও মেনশন দিয়েছেন মতামত জানানোর জন্য।

আমার রিপ্লাইটা যেহেতু অনেক বড় হয়ে গেছে, তাই পৃথকভাবে এখানে পোস্ট করলাম:

আমাকে মেনশন দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। কয়েকটা বিষয়ে একমত, বাকি কয়েকটাতে ভিন্নমত আছে।

১। এ ব্যাপারে একমত যে দীর্ঘমেয়াদী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষতিকর হবে। যারা বসবে, তাদেরকে ক্ষমতার লোভ পেয়ে বসতে পারে। তারা জনগণের পালস না বুঝে উল্টাপাল্টা ডিসিশান নিতে পারে। কিন্তু বিপরীতে বিপ্লবী ছাত্রদের ম্যান্ডেট নাই - এ ব্যাপারে এরকম সরলভাবে একমত না।

যাদের ডাকে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, তাদের অটোম্যাটিক্যালি এক ধরনের ম্যান্ডেট তৈরি হয়ে গেছে। ফরহাদ মজহারের ভাষায়, তাদের সরকার সাধারণ সরকার হবে না; হবে বিপ্লবী সরকার। তবে ৩-৬ বছর আসলেই বেশি, এবং রিস্কি। ২ বছর, সর্বোচ্চ ৩ বছরে আমি আপত্তি করব না।

২। যেসব লুটপাট হচ্ছে, তার অধিকাংশই ষড়যন্ত্রের অংশ - এটার পক্ষে যথেষ্ট এভিডেন্স দেখিনি। হ্যাঁ, লুটপাট এবং সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বিষয়ক প্রচারণা অনেক বেশি হচ্ছে, সেটা ষড়যন্ত্র। কিন্তু বাস্তবেও সংখ্যালঘুদের উপর (এবং সাধারণ মানুষের উপরেও) প্রচুর আক্রমণ, লুটপাট হচ্ছে।

এবং যতগুলো আক্রমণ হয়েছে, হচ্ছে, ম্যাক্সিমামের ক্ষেত্রেই "বিক্ষুব্ধ" জনতাকেই দেখা গেছে, যাদের অনেকে পূর্বের শত্রুতার শোধ নিচ্ছে, অনেকে বিশৃঙ্খলার সুযোগে লুটপাট করছে। লীগ, পুলিশ এখন পালিয়েই কূল পাচ্ছে না। আমরা যেন সবকিছুকে কন্সপিরেসি বলে দায় অস্বীকার না করি, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩। বিএপনি-জামাতকেও চাই না - অনেকের এই চাওয়াকে পাত্তা দেওয়া উচিত না - এ ব্যাপারে একমত। জনগণ ভোট দিলে বিএনপি, জামাত, বাম, ইভেন নতুন নেতৃত্বের আওয়ামী লীগও যদি আসে, তাকেই মেনে নিতে হবে।

কিন্তু তার আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। সংবিধান থেকে শুরু করে বিচারব্যবস্থার সমূহ সংস্কার করতে হবে। আওয়ামী লীগ যেভাবে "গণতান্ত্রিকভাবে" এসেই ফ্যাসিস্ট হয়েছে, সেই পথ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে এত রক্তদানের কোনো মূল্য থাকবে না।

মনে রাখতে হবে, এটা ৯০ বা ২০০৭ না যে সব কাঠামো ঠিক আছে, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছে, তিনমাস পর নির্বাচন দিলেই হয়ে যাবে। না। এখানে এক সাইকোপ্যাথ প্রতিটা ইনস্টিটিউশন ধ্বংস করে পালিয়ে গেছে। তিন/ছয় মাসে কিছুই ঠিক করা যাবে না।

এই জায়গায় বিএনপির সাথে ছাত্রদের কনফ্লিক্ট হবে। বিএনপি চাইবে যত কম সংস্কার করে যত দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আসা যায়, ততই ভালো। তাহলেই ক্ষমতায় এসে সর্বোচ্চ ফায়দা গ্রহণ করা যাবে।

কিন্তু আমার মতে, ছাত্রদেরকে এই ব্যাপারে অনড় থাকতে হবে। শুধু ফ্যাসিস্টকে সরানোই যথেষ্ট না; তার সবগুলো অ্যাপারেটাসকেও সংস্কার করে এরপর নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপিই আসুক - মোস্ট ওয়েলকাম।

৪। ছাত্ররা স্বৈরাচার তাড়িয়েছে - এটা ওভার সিমপ্লিফিকেশন হলেও পুরোপুরি অবাস্তব না। ছাত্রদের ডাকেই আপামর জনসাধারণ রাস্তায় নেমেছে। এই কৃতিত্ব তাই প্রধানত ছাত্রদেরই।

দেখেন আমি জানি বিএনপি-জামাতের কর্মীরা কী অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছে গত দেড় দশক। কীভাবে তাদেরকে বাড়িঘর ছাড়া করা হয়েছে, কীভাবে চোখ-নখ উপড়ে হত্যা করা হয়েছে, কীভাবে জামাত-হেফাজতের সদস্যদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এতকিছুর পরেও তাদের প্রতি তাদের নিজেদের সদস্যদের ছাড়া আপামর জনতার সিম্প্যাথি খুব বেশি গ্রো করেনি। তাদের ডাকে মানুষ রাস্তায় নামা তো দূরের কথা, অনলাইনেও সেরকম গণহারে সমর্থন দেয়নি। দুঃখজনক হলেও এটাই বাস্তবতা।

অথচ ছাত্রদের কমপ্লিট শাটডাউনেন ডাকে পুরো দেশ রাস্তায় নেমে এসেছে এবং আসলেই দেশ শাটডাউন করে দিয়েছে। ছাত্রদের প্রতি গণমানুষের এই সমর্থনকে, এবং এক্ষেত্রে পপুলার মাস মোবিলাইজেশনে বিএনপি-জামাতের ব্যর্থতাকে আপনি অগ্রাহ্য করতে পারেন না।

আর আপনি আবু সাইদের সাথে ছাত্রদলের ছেলেটার তথ্য যেভাবে তুলে ধরেছেন, সেটা সত্য হলেও পূর্ণ চিত্রটা ভিন্ন। যে ২১০ জনের লিস্ট নেট ফেরার পর পাওয়া গিয়েছিল, তাদের অধিকাংশই ছাত্র, কিশোর, জনতা। রাজনৈতিক কর্মী মাত্র ৬ জন। রাজনৈতিক কর্মীরা ব্যাপক হারে নেমেছে, আত্মত্যাগ করেছে, কিন্তু সেটা দ্বিতীয় ধাপে।

অ্যানিওয়ে, আমার বক্তব্যের মূল সামারি হলো, আপনার উদ্বেগ খুবই যৌক্তিক। কিন্তু ছাত্রদের অবদান এবং বর্তমান সিস্টেম সংস্কার করার ব্যাপারে তাদের অধিকারকে আমরা ছোট করে দেখতে পারি না। এবং তাদেরকে বেশিদিন দেশ চালাতে দিলে সেটা যেরকম রিস্কি, তেমনই সংস্কার না করে ৩/৬ মাসে নির্বাচন দিলে আমাদেরকে ১০-১৫ বছর পর আবারও এরকম রক্ত দিতে হতে পারে।

4 Monate, 2 Wochen her

শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙ্গার ঘটনায় এত কান্নাকাটি করার কিছু নাই। এটা হওয়ারই কথা ছিল।

ইয়েস, শেখ মুজিব স্বাধীনতার পূর্বাপর সময়ে অবিসংবাদিত নেতা ছিল, কিন্তু সেই মর্যাদা সে রাখে নাই। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার, প্রথম রাষ্ট্রীয় খুনি সে। তার মেয়ে গত ১৫ বছর যা করছে, সেগুলো তার কর্মকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা।

তার সত্তরের দশকের অবদানের ইতিহাস যেরকম আমাদের জানা উচিত, একইভাবে জানা উচিত এবং বলতে পারা উচিত তার বাকশাল গঠনের, গণতন্ত্র হত্যার, রক্ষীবাহিনী গঠনের, তার সময়ের দুর্নীতি-অনিয়ম-দুর্ভিক্ষের ইতিহাস। সেটা আমাদেরকে বলতে দেওয়া হয় নাই। বরং জোর করে তাকে দেবতা বানানো হইছে। প্লেন থেকে নেমে আসা সবুজ স্পিরিট বানানো হইছে।

গত দেড় দশক ধরে হাসিনা যে ফ্যাসিজমের চর্চা করছে, তার প্রতীক ছিল মুজিব। সুতরাং তার পতনের পর সেই ক্ষমতার প্রতীক যে ধ্বংস করা হবে, এটাই স্বাভাবিক। আপনারা যারা কান্নাকাটি করতেছেন, তারা যদি সিরিয়াসলি মুজিবের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইতেন, তাহলে যখন তার আদর্শকে, তার ইমেজকে ব্যবহার করে দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হচ্ছিল, তখনই সেটার বিরোধিতা করতেন। যখন অন্যান্য জাতীয় নেতাদের নাম-নিশানা উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখনই সেগুলোর বিরোধিতা করতেন।

মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙ্গা হোক। কারণ সেগুলো ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীক। কিন্তু একইসাথে অন্যান্য ভাস্কর্য ভাঙার উস্কানি দিয়ে কেউ যেন ব্যাপারটাকে এই মুহূর্তে ধর্মীয় উগ্রবাদের দিকে টেনে নিয়ে এই বিপ্লবকে ধ্বংস করার, বিদেশী শক্তিকে পুনর্প্রতিষ্ঠিত করার অজুহাত সৃষ্টি না করতে পারে, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কিত এবং অন্যান্য ভাস্কর্যকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

এবং মুজিব পূজা বন্ধের, মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙ্গার পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত করতে হবে, আওয়ামী লীগ যেরকম জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, মুজিবের নাম যেন কেউ সেরকম মুছে দেওয়ার চেষ্টা না করে।

মুজিবের নাম থাকবে, তার অবদানের কথা থাকবে, সেই সাথে তার বিচ্যুতির কথাও থাকবে। আজকে ক্ষমতা পেয়ে নতুন কেউ যদি আবার সেই একই বাড়াবাড়ির পথে হাঁটে, তার পরিণতিও একই হবে।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করছিল। শাহবাগের সময় মনে হচ্ছিল আওয়ামী লীগই সব। জামাত-বিএনপিকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে। কিন্তু তাদের অন্যায়-অত্যাচারের ফলে ইতিহাস ঘুরে দাঁড়াতে ১৫ বছরও লাগে নাই। ভবিষ্যতে কেউ এরকম করলে তার পরিণতিও একই হবে - কোনো সন্দেহ নাই। ১৫ বছরের জায়গায় হয়তো আরেকটু কমবেশি হতে পারে, কিন্তু হবেই।

ইতিহাস চক্রাকারেই ঘুরেফিরে আসে।

4 Monate, 2 Wochen her

আড়াই বছর বয়সে লিবিয়ায় চলে আসার পর সারা জীবনে সব মিলিয়ে মাত্র এক বছরের মতো দেশে ছিলাম। দেশের বলতে গেলে কিছুই চিনি না। এই যে শহিদ মিনার, সেটা এক্সাক্টলি কোথায়, সেটার সামনের চত্বটা কত বড়, সেটাও জানি না।

তারপরেও কেন যেন যতবার চারদিক থেকে শহিদ মিনারের দিকে এগুতে থাকা সনসমুদ্রের মিছিলের ভিডিওগুলো সামনে আসছে, ততবারই চোখের কোণে পানি চলে আসছে।

জানি না এই অনুভূতিকে কী বলে। কিন্তু এটা জানি, আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এবং ইনশাআল্লাহ, আমরা ইতিহাসের সঠিক পক্ষে আছি।

We recommend to visit

মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।

Last updated 1 Jahr, 9 Monate her

Journalist Sorwar Alam's official Telegram channel.
YouTube.com/SorwarAlam
fb.com/BanglaSAT
twitter.com/Sorwar_Alam

Last updated 1 Tag, 14 Stunden her

ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in

Last updated 4 Wochen, 1 Tag her