মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।
Last updated 1 year, 11 months ago
Journalist Sorwar Alam's official Telegram channel.
YouTube.com/SorwarAlam
fb.com/BanglaSAT
twitter.com/Sorwar_Alam
Last updated 2 months, 1 week ago
ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in
Last updated 3 weeks, 1 day ago
হাসিনা যেমন ছোটলোক ছিলো, খুঁজে খুঁজে পুরস্কার দিতোও অমন ছোটলোকদের।
অথচ আজ ইউনূস সরকার কাদেরকে একুশে পদক দিয়েছে, দেখেছেন?
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, অভ্র কী বোর্ডের জনক মেহেদি হাসান খান, ফটো জার্নালিস্ট শহিদুল আলম।
হাসিনার আমলে মাহমুদুর রহমান নির্বাসিত ছিলেন, মেহেদি হাসান ছিলেন উপেক্ষিত। আর শহীদুল আলম ছিলেন নির্যাতিত। সড়ক আন্দোলনের সময় শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করে রক্তাক্ত করা হয়েছিলো।
অযোগ্য মানুষ ক্ষমতায় থাকলে যোগ্য মানুষেরা পালাইয়া বেড়ায়।
আজ সেই সব নির্বাসিত আর নিপীড়িত মানুষদের কাজের মূল্যায়ন করা হলো।
যোগ্য লোকজনকে ক্ষমতায় বসালে এভাবেই যোগ্যদের মূল্যায়ন হয়।
৫ আগস্টের আগে দেশের এই সূর্যসন্তানগুলোকে পালাইয়া থাকতে হয়েছে। আর আজ দেশ তাদের বরণ করে নিলো পরম সম্মানে, অসীম আদরে।
এটাই পার্থক্য।
ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মেহের আফরোজ শাওন।
শাবাস ইন্টেরিম। শাবাস।
ধানমন্ডি ৩২ শেষ না, বরং শুরু হোক।
গতকাল হাসিনা ভাষণে আমাদের শহীদদের ছোট করেছে, দেশে আগুন জ্বালানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এরপর হাসিনা যদি আবারও কথা বলে, টুঙ্গিপাড়া মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
যদি আবারও কথা বলে, ছাত্রলীগ যুবলীগের উপর ক্র্যাকডাউন চালাইতে হবে।
হাসিনাকে চুপ থাকতেই হবে।
ভারতের সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে। হাসিনা এখন একজন ক্রিমিনাল, একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। সে ভারতে বসে কথা বললে তার দায় শুধু আওয়ামীলীগ না, বরং ভারতকেও নিতে হবে।
আর ভারত যদি তাতেও কর্ণপাত না করে, তাহলে উলফা নেতা আর সেভেন সিস্টার্সের স্বাধীনতাকামী নেতাদের ঢাকায় আশ্রয় দেওয়া হোক।
হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শান্তিতে কথা বলতে পারলে উলফা নেতারা কেন ঢাকায় বসে শান্তিতে কথা বলতে পারবে না?
যদি পাশের দেশের চাপেই বিডিআর বিদ্রোহের কমিশন না হয়ে থাকে, তাহলে জুলাই গণহত্যার বিচারও হবে বলে মনে হয় না।
হয়তো আজ থেকে ১০ বছর পর এভাবেই কোন মামলার দোহাই দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার আটকে দেওয়া হবে, যেভাবে আটকানো হলো বিডিআর বিদ্রোহের কমিশন।
আজকের বিপ্লবীরা যদি আর্মি অফিসার হত্যার বিচারের দাবিটা আদায় করতে না পারেন, তবে আপনি নিজে খুন হলেও সেইটার বিচার পাবেন না কোনদিন।
পাশের দেশ আপনাকে থ্রেট মনে করলেই খেয়ে দেবে। বাট আপনার রক্ত বিক্রি হয়ে যাবে কোন এক ধমক, স্বার্থ বা ক্ষমতার বিনিময়ে।
৫৮ জন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার আর বিনা অপরাধে জেল খাটা হাজারো বিডিআর জাওয়ানদের রক্ত বিক্রি করতে দেওয়ার আগে কথাটা মাথায় রাইখেন।
৭১ নিয়ে আওয়ামীলীগ ব্যবসা করেছে বলেই ৭১ মিথ্যা হয়ে যায়নি।
যেমন ৪৭ নিয়ে মুসলিম লীগ ব্যবসা করেছিলো, হাসিনা আর ভারতের পোষা বুদ্ধিজীবীরা হাজার চেষ্টা করেও ৪৭ মুছতে পারেনি।
৭১ রাখা বা মুছে ফেলা সরকারের কাজ না। সরকারের কাজ হলো, ৭১ কে আওয়ামীমুক্ত করা।
৭১ কে হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে বাপের সম্পত্তি বানাইয়া রাখছিলো। সেই সম্পত্তি এখন মানুষের কাছে ফেরত দেওয়ার সময় এসেছে।
৭১ এ কি ভারতের স্বার্থ ছিলো? থাকতেই পারে। যেমন ২৪ এর আন্দোলনেও মার্কিন সমর্থন ছিলো।সিরিয়ার বাশাদ বিরোধী আন্দোলনে তো তুর্কি সরাসরি অস্ত্র আর টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে।
এইসব হলো ভূ রাজনৈতিক বাস্তবতা।
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, এই মূলনীতি রেখেই ভারত আমাদের ৭১ এ সাহায্য করেছে।
সামনে ভারতের সাথে যদি কোনদিন যুদ্ধ লাগে, পাকিস্তান আর চীন আমাদের সাহায্য করবে, এটাও কোন অপরাধ হবে না। যুদ্ধ বা লড়াইটা তাতে মিথ্যা হয়ে যাবে না।
৭১ কে আমাদের অবশ্যই ওউন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যে চাড্ডি পাজিতদের আন্ডারে থাকতে চায় না, সেটার প্রমাণ ৪৭। বাংলাদেশের মানুষ যে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ পছন্দ করে না, তার প্রমাণ ৭১। বাংলাদেশের মানুষ যে ফ্যাসিবাদ ঘৃণা করে, তার প্রমাণ ২৪।
এটা একটা ছাড়া আরেকটা অসম্পূর্ণ।
বাদ দেওয়ার কোন প্রশ্নই তাই আসবে না।
এতে কোন দলের সমস্যা হলে, তাদের হিপোক্রেসি আর শয়তানি বের হয়ে পড়লে, বরং তাদের সেটা ফিক্স করতে হবে।
২৪ কে আমেরিকার ষড়যন্ত্র বলে আওয়ামীলীগ ডিনাই করে যাইতেছে এখনই। বাট এইটা বললেই গণহত্যার রক্ত আওয়ামীলীগের হাত থেকে মুছে যাবে না।
ঠিক তেমনি ৭১ কে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে ডিনাই করলেই ৭১ এর গণহত্যার রক্ত কারো হাত থেকে মুছে যাবে না।
বাংলাদেশের সংসদ, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা বা বাংলাদেশের প্রশাসনের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসকেও আওয়ামীলীগ দখল করেছিলো অন্যায়ভাবে।
এখন সেই ইতিহাসটাকে আমাদের আওয়ামীলীগের দখলমুক্ত করতে হবে।
মেজর জিয়া, কর্ণেল তাহেল, খালেদ মোশাররাফ, এমএজি ওসমানী, তাজউদ্দীন আহমেদদের ইতিহাস আনতে হবে। মুজিবের ১ থেকে ২৫ শে মার্চের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ঝাপের সত্যটা তুলে আনতে হবে।
মানুষের ইতিহাস মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিলে মানুষ ৭১ কেও ধারণ করবে অন্তর দিয়ে।
মিথ্যা ইতিহাসকে প্রতিস্থাপন করতে হয় সত্য ইতিহাস দিয়ে।
ইতিহাস মুছে ফেলে না।
বাশার আল আসাদের বাবার সমাধি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
৫-৭ তারিখ পর্যন্ত আমাদের যা যা করা উচিত ছিলো, ঐটা সিরিয়ার জনগণ করতেছে দেখে ভালো লাগলো।
আমাদের আফসোসটা ওদের আর না করতে হোক।
দিমাশক চারদিক থেকে ঘেরাও হয়ে গেছে। বিমান বাহিনীর সদর দপ্তর অরক্ষিত ফেলে গার্ডরা পালিয়েছে।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সজল ভাইয়ের রাজনীতি বিষয়ক লাইভটা শুরু হতে যাইতেসে।
কমেন্টে লিঙ্ক দিচ্ছি, জয়েন হতে পারেন।
অনেকেই রাজনীতি বই পড়ে বুঝতে চান, রাজনীতি বুঝতে হলে কোন বইটা পড়তে হবে, সেই প্রশ্ন করেন।
বাট সত্যটা হলো, বই পড়ে রাজনীতি শেখা যায় না। রাজনীতি শিখতে হয় রাজনীতি জানা মানুষের সাথে থেকে।
সজল ভাইয়ের আজকেও টেলি-আড্ডা আপনাদের সামনে সেই সুযোগটাই এনে দিচ্ছে।
লাইভ শুরু হয়ে গেছে। লিঙ্ক থাকতেছে এখানে:
ওয়াসিম জানতেন, কোটা আন্দোলন সফল হলেও তাঁর কোন লাভ নাই।
আওয়ামীলীগের সরকার তো আর ছাত্রদলের নেতাকে চাকরি দেবে না, তাই না?
তবুও, ওয়াসিম গিয়েছিলেন।
ওয়াসিমের ছবিটা আমি প্রথম দেখেছিলাম রাতে।
লাল সবুজের জার্সি গায়ে দাঁড়িয়ে আছেন। দুই চোখে শিশুর মতো এক সারল্য।
আন্দোলনে যাওয়ার আগে ফেসবুকে লিখেছিলেন, সবাই ষোলশহর চলে আসুন।
সেই ষোলশহরই হয়ে গেল ওয়াসিমের শেষ গন্তব্য, পুলিশের গুলিতে ওয়াসিম শহীদ হয়ে গেলেন।
ওয়াসিম ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। বিএনপির রাজনীতিতে এক্টিভই ছিলেন। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় নাই ১৫ বছর। কবে আসবে, তার কোন হিসাবও ছিলো না।
বড় বড় নেতারা পর্যন্ত ২০২৪ এর ইলেকশনের পর ঘরে ঢুকে বসেছিলেন। সিনিয়র অনেক নেতাই বলতেন, আপাতত আর সম্ভব হচ্ছে না।
সেই অসম্ভবের সময়টাতে ওয়াসিম গিয়েছিলেন আন্দোলনে।
এই আন্দোলনে অনেকেরই অনেক রকম পাওয়ার আন্দোলন ছিলো।
প্রধান স্বার্থ ছিলো, চাকরি। কোটা উঠে গেলে বিসিএসে চাকরি পাওয়া যাবে। ক্ষমতা পাওয়া যাবে।
ওয়াসিমের এইসব স্বার্থ ছিলো না। বিএনপির এক্টিভ রাজনীতি করে বিসিএস তো দূরের কথা, সাধারণ কোন চাকরি পাওয়াও সম্ভব ছিলো না। ছাত্রদলের বহু পোলাপাইনকে আমি ঢাকায় পাঠাও চালাইয়া খাইতে দেখেছি।
কাজেই, আন্দোলন সফল হলেও ওয়াসিমের প্রাপ্তির খাতা শূন্যই থাকতো।
সেই শূণ্য খাতা নিয়েই ওয়াসিম আকরাম এই আন্দোলনে এসেছিলেন।
ওয়াসিম রাজনীতি করতেন। রাজনীতি করা ছেলেপেলেকে আমাদের দেশে খুব ভালো চোখে দেখা হয় না কখনোই।
অথচ অনেক ভালো ছেলেরা যখন ঘরের মধ্যে মুখ লুকিয়েছে, ওয়াসিম তখন অন্য মানুষের ভালোর জন্য এসে প্রাণ দিয়ে গেছেন।
ওয়াসিম অনেকগুলো মিথ একসাথে ভেঙে দিয়েছেন।
বলা হয় না? মানুষ শুধুই স্বার্থ দেখে? স্বার্থ ছাড়া নাকি মানুষ এক পা নড়ে না?
অথচ এই ছেলেটা নিজের এক বিন্দু স্বার্থ ছাড়াই আন্দোলনে এসেছিলেন। তারপর বাংলাদেশের ঐ লাল সবুজের জার্সিটা নিয়ে মরে গেছেন।
ওয়াসিমকে মিডল ক্লাস ওউন করে না।
কারণ, মিডলক্লাস চায় না, তাদের ছেলেরা ওয়াসিমের মতো হয়ে যাক। রাজনীতি করুক, মানুষের জন্য প্রাণ দিয়ে দিক।
কিন্তু ওয়াসিম এই মিডলক্লাস ছেলেমেয়েদের জন্য ঠিকই এসেছিলো।
ওয়াসিম ঠিকই এই আন্দোলনটাকে ওউন করেছিলো। এতোটাই যে, এই আন্দোলনের দ্বিতীয় শহীদ হওয়ার সম্মানটা শহীদ ওয়াসিমের।
আজ যে স্বাধীনতার পতাকা আমরা নতুন করে পেয়েছি, সেই পতাকার অনেকখানি রক্ত এই শহীদ ওয়াসিমের শরীর থেকে নেওয়া।
না, ওয়াসিমের রক্তের ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো না। ওটা সম্ভব না। শহীদের রক্তের কোন প্রতিদান হয় না।
শুধু এদেশের মিডল ক্লাসের কাছে আমার একটাই আবদার, আপনার সন্তানকে ওয়াসিমের গল্পটা একটু বইলেন। ওয়াসিমের ঐ নিষ্পাপ ছবিটা একবারের জন্যও দেখাইয়েন।
পরেরবার রাজনীতি খারাপ, রাজনীতি করা খারাপ ছেলেরা খারাপ শেখানোর আগে, ওয়াসিমের গল্পটাও একটু বইলেন। যে ছেলেটা রাজনীতি করতো, বাট ছেলেটা দেশের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে এসে মরে যেতে দুইবার ভাবেনি।
শুভ জন্মদিন, শহীদ ওয়াসিম আকরাম।
এই দেশে জন্ম নিয়ে এবং জীবন দিয়ে আমাদের নতুন একটা স্বাধীনতা এনে দেওয়ার জন্য আপনাকে জানাই সশ্রদ্ধ ভালোবাসা।
এই দেশের মাটির পরম সৌভাগ্য, আপনার মতো অসাধারণ, অলৌকিক সব মানুষকে পরম মমতায় এই মাটি তার বুকে ধারণ করে আছে।
মহান আল্লাহ তাআলা আপনাকে দুনিয়া আর আখিরাতে সুমহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করুন।
মুভি রিভিউ, মুভি নিউজ আপডেট চ্যানেল।
Last updated 1 year, 11 months ago
Journalist Sorwar Alam's official Telegram channel.
YouTube.com/SorwarAlam
fb.com/BanglaSAT
twitter.com/Sorwar_Alam
Last updated 2 months, 1 week ago
ডেইলি চাকরীর খবর, সিলেবাস, বিগত প্রশ্ন:
www.gktodaybengali.in
Last updated 3 weeks, 1 day ago