মুসলিমদের উপর অত্যাচার
এটি DOAM ( @doamuslims ) পেজের অফিসিয়াল বাংলা টেলিগ্রাম চ্যানেল। প্রয়োজনে যোগাযোগ @doambn_bot
Documenting Oppression Against Muslims (DOAM). Official Bangla Telegram Channel of DOAM.
Last updated 4 days, 19 hours ago
Physician | Author | Dreamer
Last updated 1 week, 3 days ago
আমার ভাইয়ের রক্ত
বৃথা যেতে দিব না।
আবু সাঈদের রক্ত,
বৃথা যেতে পারেনা।
Last updated 4 days, 7 hours ago
বিপ্লব। নেশাধরানো একটা শব্দ। আগুনের হলকায় যেন ছাই করে দিতে মন চায় সবকিছু! যেন প্রবল কোনো সাইক্লোনে উড়িয়ে দেবে যতো মিথ্যে, যতো জঞ্জাল, যতো উদ্ভট আবর্জনাদের দঙ্গল! বিপ্লব তো টাইফুন, সুনামি আর ভূমিকম্পের এক রাগমেশানো ককটেল!
.
কবি নবারুণ ভট্টাচার্যের "একটা ফুলকির জন্যে" কবিতাটার খুব চল দেখা যায় বিপ্লবের এই আগুনকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। সন্দেহ নেই, কবির কথাগুলো বিপ্লবের মতোই দারুণ!
.
"একটা কথায় ফুলকি উড়ে শুকনো ঘাসে পড়বে কবে
সারা শহর উথাল পাথাল, ভীষণ রাগে যুদ্ধ হবে
-----------------
--------------------
একটা কুঁড়ি বারুদগন্ধে মাতাল করে ফুটবে কবে
সারা শহর উথাল পাথাল ভীষণ রাগে যুদ্ধ হবে।"
.
সেই ভীষণ রাগে যুদ্ধের এক বারুদ আজ ফুটছে সমগ্র বিশ্বজুড়ে। এই বারুদের রাগে ভস্মীভূত হচ্ছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। পবিত্র ভূমি জুড়ে রয়েছে তার সবটুকুতে। এই রাগ, এই আগুন আসবে এদিকেও। ঠিক যেভাবে চিন্তাপরাধ এর শেষ পৃষ্ঠায় তুলে ধরা হয়েছে ভবিষ্যতের সেই চিত্র। শুধু চিত্রই দেওয়া হয়নি, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছে করণীয়ের আলাপ।
.
"মুসলিম হিসেবে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত ইতিহাস এবং চলমান ঘটনাপ্রবাহ থেকে। পশ্চিমকে খুশি করা আর তাদের সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা অর্থহীন, জাতিসংঘ এবং 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের' ওপর ভরসা করা নিরেট পাগলামি।
.
এসব বাদ দিয়ে এখন সময় এসেছে সম্পূর্ণভাবে দ্বীনে ফিরে আসার। সময় এসেছে পশ্চিমা দর্শন আর তন্ত্রমন্ত্রের অন্ধকার অলিগলিতে দিগভ্রান্তের মতো না ঘুরে পরিপূর্ণভাবে বিশুদ্ধ তাওহীদের শিক্ষা আত্মস্থ করার।
.
অন্যসব ঠুনকো পরিচয়কে ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমাদের মুসলিম পরিচয়কে আঁকড়ে ধরতে হবে। সেইসাথে ইসলামকে বুঝতে এবং পালন করতে হবে, যেভাবে বুঝেছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম, কুরআনের প্রজন্ম—রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া আজমাইন)।
.
সেই সাথে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কীভাবে আমরা এ আগ্রাসনের প্রতিরোধ করব। সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই চোখ থেকে পশ্চিমা ঠুলি সরিয়ে আমাদের খুঁজতে হবে শ্বেতসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের অগ্রবর্তী বাহিনীকে। আমাদের বুঝতে হবে আগ্রাসী শত্রুর বিরুদ্ধে কারা আমাদের ফার্স্ট লাইন অফ ডিফেন্স। দিগন্তে কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে আর মাটিকে গ্রাস করে নিচ্ছে শ্বেতসন্ত্রাসের ছায়া।"
.
পাঠক, এই মহাযুদ্ধের মহা আবেদনকে আপনি আত্মস্থ করতে পেরেছেন তো? সময় কিন্তু নিকটবর্তী!
.
চিন্তাপরাধ
যুদ্ধ
আলহামদুলিল্লাহ্
জালেম শাসকের সামনে সত্য তুলে ধরা
— আলী হাসান তৈয়ব
সম্পাদনা: ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া হাফিঃ
শহীদ : যে ব্যক্তি মুশরিকদের হাতে নিহত হয়েছে, যাকে যুদ্ধের ময়দানে আঘাতের চিহ্নসহ পাওয়া গেছে, অথবা মুসলমানদের দ্বারা অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং তার হত্যার জন্য কোন রক্তপন দেয়া হয়নি। তাকে কাফন পরানো হবে এবং জানাযা করা হয়, কিন্তু গোসল দেয়া হবে না।
الشَّهِيدُ : مَنْ قَتَلَهُ المُشْرِكُونَ، أو وُجِدَ في المَعْرَكَةِ َوبِهِ أَثَرٌ، أو قَتَلَهُ المُسلِمُونَ ظُلْماً وَلَمْ يَجِبْ بِقَتْلِهِ دِيَةٌ، فَيُكَفَّنُ ويُصَلَّى عَلَيْهِ ولا يُغَسَّلُ.
[ হেদায়া, বুরহানুদ্দীন মারগীনানী ১/৯২ ]
✒️ MD Nur Habib
যদি আপনার প্রতি অন্যায় করা হয়, তাহলে লোকদের নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা।
হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বললো: আল্লাহর রাসূল! আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে কিনা আমাকে হয়রানি করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যাও, তোমার জিনিসপত্র (ঘর থেকে) বের করে নিয়ে যাও এবং রাস্তায় ফেলে (রেখে) দাও। লোকেরা তার (অর্থাৎ, ব্যক্তির) কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো, তোমার কি হয়েছে? তিনি বললেন: আমার প্রতিবেশী আমাকে কষ্ট দেয়। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন, “যাও এবং তোমার জিনিসপত্র (ঘর থেকে) বের করে রাস্তায় ফেলে দাও।” লোকেরা তা শুনে বলতে লাগলেন: আল্লাহ তাকে (প্রতিবেশীকে) লানত করুন, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করুন। এ খবর প্রতিবেশীর কাছে পৌঁছলে সে তার কাছে এসে বললো: তুমি তোমার ঘরে ফিরে যাও, আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমাকে কখনো কষ্ট দেব না।
[আদাবুল মুফরাদ: ১২৪]
بَابُ شِكَايَةِ الْجَارِ
অধ্যায়: প্রতিবেশীর ব্যাপারে অভিযোগের বর্ণনা।
শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এই হাদীস থেকে যুক্তি দেন যে, কিছু ক্ষেত্রে কাউকে নির্দিষ্ট করে লানত (অভিশাপ) দেওয়া জায়েজ।
শায়খ ইরশাদুল হাক্ব আছরী হাফিজাহুল্লাহ'কে মিছিল-বিক্ষোভের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই হাদীসটি উল্লেখ করেন এবং এর বৈধতার দিকে ইঙ্গিত করেন, যদিও বৈধতার অর্থ জান-মাল, সম্পত্তির ক্ষতি করা নয়।, তবে নিজের দাবির প্রতি অন্যের আকর্ষণ আকৃষ্ট করতে এই ধরনের পদ্ধতির কিছু যৌক্তিকতা রয়েছে।
মুফতি আব্দুস সাত্তার হাম্মাদ (রহ.) এই হাদীস থেকে যুক্তি দেন যে, বৈধ দাবিগুলির জন্য প্রতিবাদ জায়েজ।
আর আল্লাহই ভালো জানেন।
✒️ D.M. Nazmus Sadat
أَسَمِعْتَ بِمَا قَالَ مُوسَى؟ رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِلْمُجْرِمِينَ
Did you not hear what Musa said?: "My lord for that with which you have favored me, I will never more be a helper for Mujrimun (Criminals, Disobedient to Allah, Polytheists, Sinners, etc) [Surah Qasas Verse #17]
The man said to Imam Sha'abi: Your message has been received O Abu Amr, by Allah I will not ever record anything for them ver again.
Imam Sha'abi said to the Man:
وَاللَّهِ لَا يَدَعُكَ اللَّهُ بِغَيْرِ رِزْقٍ أَبَدًا.
By Allah, Allah will not leave you with no rizq, ever.
[Tafseer ibn Abi Hatim 9/#16775]
Salaf being harsh to the Ruler.
Bastam asked Imam Baqir that it is allowed to pray behind a ruler? So he replied "Pray with them and we also pray with them and Hasan and Hussain رضیﷲ عنهم also prayed behind Marwan" (governor of Medina).
Bastam said: People say that Hassan and Hussain do this out of Taqiyyah (out of fear)
Imam Baqir replied:
وكَيْفَ إنْ كانَ الحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يَسُبُّ مَرْوانَ فِي وجْهِهِ وهُوَ عَلى المِنبَرِ
How can it be taqiyyah when Hasan ibn Ali used to rebuke Marwan on his face while he was on the Mimbar.
[Musannaf ibn Abi Shaybah 2/152 sanad authentic]
Mujalid bin Saeed said I saw Sha'abi and Abu Burdah Moosa al Ashari talking to each other while Hajjaj was delivering sermon and saying "May Allah's curse be upon the liars, May Allah's curse be upon the liars. So, I said to both of them "You're talking in between the khutba"?
They replied: إنا لن نؤمر أن ننصت لهذا.
We're not commanded to remain silent for this man
[Musannaf ibn Abdur Razzaq #5432, Sanad classified authentic by Shaikh al Mohaddis Abu Ali al Hasani]
And Ibn Munzir reported that Ibrahim Nakhi, Saeed bin Jubayr, Abu Burdah ibn Musa Al Ashari, Ibrahim bin Muhajir, Sho'abi, that they used to talk during Hajjaj' sermon in Jumah.
According to Madhkhali, these pious predecessors were premium Khawarij, they won't even listen to Khutba of a tyrant Ruler and talk during the khutba.
isham bin Hasan رحمہ اللہ said:
مَا رَأَيْت أحدا أَصْلَب عِنْد سُلْطَان من مُحَمَّد بن سِيرِين
I have never seen anyone who's more harsh with a Ruler than Imam Mohammad ibn Sireen رحمہ اللہ.
[Tarikh ibn Ma'een 4/278, sanad sahih]
Imam Abdullah ibn Mubarak رحمہ اللہ said:
مَنْ بَخِلَ بِالْعِلْمِ ابْتُلِي بِثَلَاثٍ إِمَّا يَمُوتُ فَيَذْهَبُ عِلْمُهُ، أَوْ يَنْسَى، أَوْ يَتَّبِعُ السُّلْطَانَ
The one who have stinginess with knowledge, he falls in three things, he either dies and his knowledge get wasted or he forgets, ?? ?? ??????? ??? ?????.
[al Madkhal ala Sunan al Kubra #586 sanad sahih]
Abdurrahman bin Mahdi said:
ما سمعت سفيان يسب أحدا من السلطان قط في شدته عليهم
I never heard Sufyan ath Thawri رحمہ اللہ abusing the Rulers despite being extremely harsh with them
[Jarah wa Tadeel 1/97]
He also said:
وان دعوك الملوك على ان تقرا عليهم "قل هو الله احد" فلا تفعل
“If the rulers invite you to recite Surah al-Ikhlas for them, do not do it.”
[al Wara/Shoab al Imaan]
Imam Ghazali رحمہ اللہ speaks about corrupt Rulers and writes
ويجب على كل متدين الإنكار عليهم وتضييق صدرهم بإظهار ظلمهم وتقبيح فعلهم
It is obligatory on religious people to rebuke them making their hearts restricted by showing their oppression and ugliness of their actions.
[al ihya.. 1/28]
Imam Malik رحمہ اللہ said:
دخلت على أبي جعفر مرارا وكان لا يدخل عليه أحد من الهاشميين وغيرهم إلا قبلوا يده فلم أقبل يده قط
I entered upon Abu Ja'far "al Mansur" (Ruler of Abbasid Caliphate) repeatedly, and no one from Banu Hashim and others would enter him without kissing his hand, but I never kissed his hand.
[al Jarh wa al Ta'dil of Imam Ibn Abi Hatim 1/25]
Jabir ibn Hanzalah reported that a man said to Imam Aamir as Sha'abi: O Abu Amr, I am a man who records that what comes in and out for the government, I take from this work money to provide for myself and my family.
Imam Sha'abi said:
فَلَعَلَّكَ تَكْتَبُ فِي دَمٍ يُسْفَكُ
Perhaps you record of the blood that is spilt (unjustly)? He said: No.
Imam Sha'abi asked him:
فَلَعَلَّكَ تَكْتُبُ فِي مَالٍ يُؤْخَذُ
Perhaps you record of the wealth which is taken (unjustly)? He said: No.
Imam Sha'abi asked him again:
فَلَعَلَّكَ تَكْتُبُ فِي دَارٍ تُهْدَمُ.
Perhaps you record the homes that are demolished (unjustly)? He said: No.
Imam Sha'abi then replied:
ইদ্দত এর সময়কাল :
ইদ্দত মানে গণনা করা। তিন হায়যের সময়কালকে এক ইদ্দত বলা হয়। অর্থাৎ তিন মাস।
(১) গর্ভবতী নারী তালাক প্রাপ্তা হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে। সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর পরই তার ইদ্দত খতম হয়ে যাবে। [. সূরা তালাক আয়াত নং ৪; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০২৬।]
(২) গর্ভবতী না হলে তিন মাস পালন করতে হবে। [. সূরা বাকারা আয়াত নং ২২৮; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০৭৭; ইরওয়াউল গলীল হাদীস নং ২১২০।] যাদের হায়েয হয় না তারাও তিন মাস ইদ্দত পালন করবে। [. সূরা তালাক আয়াত নং ৪।]
(৩) খোলা তালাকের ক্ষেত্রে নারী এক মাস ইদ্দত পালন করবে। [. আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২২৯।] অর্থাৎ এক হায়েয সময়কাল।
(৪) গর্ভহীন নারী বিধবা হলে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করবে। [. সূরা বাকারা আয়াত নং ২৩৪।]
গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত সময়কালকে ইদ্দত হিসেবে গণ্য করা হবে। [. সূরা তালাক আয়াত নং ৪।]
বিয়ের পর সহবাসের পূর্বেই যদি স্বামী মারা যায় তাহলেও স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে। সহবাস না করলে ইদ্দত পালন করতে হবে না-মর্মের দাবী ঠিক নয়। [. আবূ দাঊদ হাদীস নং ২১১৬; তিরমিযী হাদীস নং ১১৪৫; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ১৮৯১।]
যদি স্বামী বিবাহের পর সহবাসের পূর্বেই তালাক দেয় তাহলে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর জন্য কোন ইদ্দত নেই। তালাকের পর সাথে সাথেই উক্ত স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে। [. সূরা আহযাব আয়াত নং ৪৯।]
রজঈ তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে স্বামীর ঘরেই ইদ্দত পালন করা উচিৎ। [. সূরা তালাক, আয়াত নং ১।] এ সময়ে স্ত্রীর যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িতব থাকবে স্বামীর কাঁধে। স্বামী স্ত্রীর খরচ বহন করার ক্ষেত্রে কোনরূপ অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে পারবে না। তবে ‘বায়েন কুবরা’ তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী স্বামীর ঘরে নয় বরং নিজের যে কোন সুবিধামত স্থানে ইদ্দত পালন করবে। [. আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২৮৪।] কেননা বায়েন কুবরা তালাক হয়ে যাওয়ার পর তারা আর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হন না। সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে যায়। দুজনেই দুজনের জন্য হারাম হয়ে যায়। সুতরাং ইদ্দত পালনকালে স্বামীর (যার সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল) ঘরে থাকা যাবে না। বিধবা হলে স্বামীর ঘরেই ইদ্দত পালন করতে হবে। [. আবূ দাঊদ হাদীস নং ২৩০০।]
আর যদি স্বামী হারিয়ে যায় কিংবা নিখোঁজ থাকে তাহলে চার বছর অপেক্ষা করার পর স্ত্রী ইদ্দত পালন শুরু করবে। অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালনের পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে। এ বিষয়ক কোন সরাসরি মারফূ হাদীস পাওয়া যায় না। তবে হাদীসের আলোকে ইজতিহাদ করেই একে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। [. সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, বাবুত তালাক; নাসাঈ কুবরা, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক। ইবারতের জন্য তালাক কী কিতাবের ১৯৬ পৃ. দেখতে হবে।]
চার বছর অতিক্রান্ত হবার পরও যদি স্ত্রী তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে চায় তাহলে অপেক্ষায় থাকবে। সেক্ষেত্রে বিবাহ অটুট থাকবে। ফলে ইদ্দত পালনেরও কোন প্রশ্ন আসবে না।
আর যদি চার বছর অপেক্ষার পর স্ত্রী নতুন বিবাহ করে; এবং পরবর্তীতে যদি (দ্বিতীয় স্বামীর সাথে ঘর সংসারকালে) প্রথম (হারিয়ে যাওয়া) স্বামী প্রত্যাবর্তন করেন তাহলে স্ত্রীর স্বাধীনতা থাকবে যে কোন একজনকে বহাল রাখার। [. বুখারী হাদীস নং ৫২৯১-এর পূর্বে।]
ইদ্দতপালনকালে স্ত্রী প্রয়োজনে বাসা হতে বের হতে পারবে। [. আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২৯৭; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০৩৪।]
ইদ্দতপালনকালে স্ত্রী বিবাহ করতে পারবে না। [. সূরা বাকারা, আয়াত নং ২৩২, ২৩৪।]
ক্রীত দাসী হলে দুমাস তথা দুই হায়েযকাল ইদ্দত পালন করবে। [. ইরওয়াউল গলীল হাদীস নং ২০৬৭।]
তবে গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হবে। [. আবূ দাঊদ হাদীস নং ২১৫৭।]
সন্তান ভুমিষ্ট হওয়া মাত্রই ইদ্দতকাল শেষ। সন্তান জীবিত বের হোক কিংবা মৃত। বন্দী নারীর ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, গর্ভবতী দাসীর বাচ্চা প্রসবের পূর্বে তার সাথে সহবাস করা হারাম। গর্ভবতী না হলে এক হায়েয পেরোনোর পর সহবাস করা যাবে। তার আগে নয়। [. তিরমিযী হাদীস নং ১৫৬৩।]
উল্লেখ্য, তালাকে রজঈ প্রাপ্ত নারীর স্বামী যদি মারা যায় তাহলে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে উক্ত নারী চার মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করবে। সেক্ষেত্রে তালাকে রজঈর ইদ্দত বাতিল হবে। আর তালাকে রজঈ প্রাপ্ত নারী স্বামীর মৃত্যুর পর তার সম্পদের ওয়ারিস হবে। তালাকে বায়েন প্রাপ্ত নারীর ক্ষেত্রে এই হুকুম প্রযোজ্য নয়।
মুসলিমদের উপর অত্যাচার
এটি DOAM ( @doamuslims ) পেজের অফিসিয়াল বাংলা টেলিগ্রাম চ্যানেল। প্রয়োজনে যোগাযোগ @doambn_bot
Documenting Oppression Against Muslims (DOAM). Official Bangla Telegram Channel of DOAM.
Last updated 4 days, 19 hours ago
Physician | Author | Dreamer
Last updated 1 week, 3 days ago
আমার ভাইয়ের রক্ত
বৃথা যেতে দিব না।
আবু সাঈদের রক্ত,
বৃথা যেতে পারেনা।
Last updated 4 days, 7 hours ago