📣 রামাদান রিমাইন্ডার

৫ম মাজলিস : রমাদান মাসে দান করার ফজিলত প্রসঙ্গে

📙 শাইখ সালিহ আল-ফাওযান কর্তৃক মাজালিসু শাহরি রামাদান আল-মুবারাক

📅 ⏱ 🇧🇩 প্রত্যেক মঙ্গলবার, শুক্রবার ও শনিবার বাংলাদেশী সময়ে বিকাল ৪:৩০ এ, ইন-শা-আল্লাহ।

📡 লাইভে যুক্ত হোন: https://markaztahawee.com/live-lecture/

🌎 markaztahawee.com

𝗠𝗮𝗿𝗸𝗮𝘇 𝗔𝗹-𝗜𝗺𝗮𝗺 𝗔𝘁-𝗧𝗮𝗵𝗮𝘄𝗲𝗲
𝗗𝗵𝗮𝗸𝗮 • 𝗖𝗵𝗮𝘁𝘁𝗼𝗴𝗿𝗮𝗺 • 𝗕𝗮𝗻𝗴𝗹𝗮𝗱𝗲𝘀𝗵

সিয়ামের প্রহরা - ১

আবুল মুতাওয়াক্কিল আন-নাজী বলেছেন:

“যখন আবূ হুরায়রাহ ও তাঁর সাথিরা সিয়াম পালন করতেন, তাঁরা মসজিদে বসতেন আর বলতেন: 'আমরা আমাদের সিয়ামকে পরিশুদ্ধ করছি।’”

আল-জামিউস সহীহু লি আছারিস সহাবাহ, নং ৩১৮২।

https://markaztahawee.com/2023/05/30/%e0%a6%8f%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87/

وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللهَ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا

'তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো ও বিভক্ত হয়ো না।' [সূরা আল 'ইমরান: ১০৩]

শাইখ সালিহ বিন ফাওযান :

“(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর) মাধ্যমে ঐকমত্য হওয়া যায় যার ফলস্বরূপ মুসলিমরা শক্তি অর্জন করতে পারে ও তাদের শত্রুদের উপর বিজয়ী হতে পারে; কারণ তখন তারা একই দীন (অর্থাৎ ধর্ম) পালন করে ও একই 'আক্বীদাহ পোষণ করে।”

গ্রন্থ: মা'না লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া মুকতাদাহা ওয়া আসারুহা ফিল ফারদি ওয়াল মুজতামা', পৃষ্ঠা: ৫৬-৬২

Markaz Al-Imam At-Tahawee
Dhaka • Chattogram • Bangladesh

আবূ হুরাইরাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেছেন:

"বিচার-ফয়সালার ক্ষেত্রে ঘুষ প্রদানকারী ও ঘুষ গ্রহণকারী উভয়কে আল্লাহ লানত দিয়েছেন।"

উৎস: সহীহুল জামি‘ হাদীস নম্বর: ৫০৯৩
শাইখ আলবানী এই হাদীসকে সহীহ বলেছেন।

*(লানত হলো: আল্লাহর রহমত থেকে দূরে রাখা - ইবনু বায)

Markaz Al-Imam At-Tahawee
Dhaka • Chattogram • Bangladesh

And what did Ibrāhīm do when he was thrown into the fire to be burnt alive?

So when the enemies gather and perpetrate atrocities let us not abandon the Prophetic guidance and resort to materialistic beliefs and ideologies. Do not abandon Du'ā, do not lose hope in Allāh, depend and rely on Him.

May Allāh save our oppressed brothers and sisters in Palestine and elsewhere; sufficient for us is Allāh and He is the best Disposer of affairs.

শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (رحمه الله) বলেছেন:

'...কেননা রাসূলদের দীনের সাথে সাংঘর্ষিক বিদ‘আতগুলো যখন প্রকাশ পায়, (তখন) যারা রাসূলদের বিরোধিতা করে আল্লাহ তা’আলা তাদের সকলের উপর প্রতিশোধ নেন এবং তাঁদের (রাসূলদের) সহযোগিতা করেন। …সুতরাং যখন নিফাক্ব, বিদ‘আত ও পাপাচার (ফুজূর) প্রকাশ পেল যেগুলো রাসূলদের দীনের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল, তখন শত্রুপক্ষকে তাদের (মুসলিমদের) উপর চড়াও করে দেওয়া হলো।'

Markaz Al-Imam At-Tahawee
Dhaka • Chattogram • Bangladesh

https://markaztahawee.com/2023/12/30/major-innovations-in-creed-are-the-cause-of-calamities/

সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার ভয়াবহ পরিণাম

ইবনুল ক্বাইয়্যিম (মৃ. ৭৫১হি) রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন:

“সাবধান হও! সাবধান হও দু’টি বিষয় থেকে যেগুলোর পরিণাম হলো ভয়াবহ।

তন্মধ্যে প্রথমটি: সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা কারণ তা তোমার প্রবৃত্তির বিরোধিতা করে। তাই এর শাস্তি স্বরূপ, তোমার কাছে সত্য যেখান থেকেই আসুক না কেন তুমি তা প্রত্যাখ্যান করবে এবং তোমার অন্তরকে (হিদায়াত থেকে) বিমুখ করে দেওয়া হবে। এবং তুমি সত্যকে গ্রহণ করবে না যদি তা স্পষ্টত তোমার প্রবৃত্তির অনুগামী না হয়। মহান আল্লাহ বলেন: "এবং আমি তাদের অন্তর ও দৃষ্টিকে (হিদায়াত থেকে) ফিরিয়ে দিব, যেভাবে তারা প্রথমবার তা (অর্থাৎ ওয়াহী) বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেছিল।" [সূরাহ আল-আন‘আম: ১১০]

তাই, প্রথমবার সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার শাস্তি স্বরূপ আল্লাহ তাদের অন্তর ও দৃষ্টিকে (হিদায়াত থেকে) ফিরিয়ে দিয়েছেন।

দ্বিতীয়ত: আত-তাহাউন (স্বেচ্ছায় অবহেলা করা ও উপেক্ষা করা) অর্থাৎ কোনো দীনি বিধান পালনের সময় হলে তার প্রতি অনীহা প্রদর্শন করা। সুতরাং, যদি তুমি স্বেচ্ছায় আল্লাহর বিধানকে উপেক্ষা করো তবে এর শাস্তি স্বরূপ, আল্লাহ যেসব কাজে সন্তুষ্ট হন ও তিনি যেসব কাজের আদেশ দিয়েছেন ঐসব থেকে তিনি তোমাকে বাধা দিবেন ও বিরত রাখবেন। মহান আল্লাহ বলেন: "অতঃপর আল্লাহ যদি আপনাকে তাদের (মুনাফিকদের) কোনো দলের কাছে ফেরত নিয়ে আসেন এবং তারা অভিযানে বের হওয়ার জন্য আপনার অনুমতি প্রার্থনা করে, তখন আপনি বলবেন, তোমরা তো আমার সাথে কখনো বের হবে না এবং তোমরা আমার সঙ্গী হয়ে কখনো শত্রুর সাথে যুদ্ধও করবে না। তোমরা তো প্রথমবার বসে থাকাকে পছন্দ করেছিলে; কাজেই (এখন) পিছ-পড়াদের সাথেই বসে থাকো।'' [সূরাহ আত-তাওবাহ: ৮৩]

সুতরাং, যে ব্যক্তি এই দুই চরম ফিতনাহ ও মহাবিপদ থেকে দূরে থাকবে, সে নিরাপদে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করবে।”

সূত্র: ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক বাদায়িউল ফাওয়াইদ, (৩/১১২৮-১১২৯), দারু ‘আলামিল ফাওয়াইদ সংস্করণ।