ইমাম মালিক ইবনু আনাস রাহিমাহুল্লাহ [মৃত্যু : ১৭৯ হি.] বলেন —
وقال مالك بن أنس: من لزم السنة، وسلم منه أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم مات، كان مع النبيين والصديقين والشهداء والصالحين، وإن كان له تقصير في العمل.
“যিনি সুন্নাহকে ধরে রাখেন এবং যার নিকটে রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছাহাবীগণ নিরাপদ তিনি যখন মৃত্যুবরণ করবেন তখন তিনি নাবীগণ, সিদ্দিকগণ, শুহাদাগণ এবং সলেহীন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে অবস্থান করবেন। এমন কি যদিও তার আমলের ধারা/পরিমাণ অল্প হোক না কেন”
বইঃ শারহুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা : ১২২
ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরী রাহিমাহুল্লাহ [মৃত্যু : ১৬১ হি.] বলেন —
“ইবলিসের কাছে পাপ থেকে বিদ'আত অধিকতর প্রিয়, কারণ পাপী পাপ থেকে তওবা করে, কিন্তু বিদ'আতি বিদ'আত থেকে তওবা করে না” [১]
[১] আল-লালকাঈ হতে বর্ণিত ‘আস-সুন্নাহতে' (২৩৮ নং)
বইঃ শারহুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা : ৮৭
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি আমলঃ
● সূরা আল-কাহফ পাঠ করা
● অধিক পরিমাণে দরুদ পড়া
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ
[“আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)”]
● বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়া
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ
[“আস্তাগফিরুল্লা-হ”]
● আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে দু'আ করা
অবশ্যই বেশি বেশি আমাদের ফি'লি'স্তিন (গা'জা), ভারত, কাশ্মীর, উ'ইঘু'র, সু'দানসহ সকল দেশের মাজ'লু'ম, মু'জা'হিদ, কা'রাব'ন্দী মুসলিম ভাই-বোন ও দ্বীনের দাঈদের জন্য দু'আ করবেন। আল্লাহ তা'য়ালা সকল জা'লি'ম, মুনা'ফি'ক, তা'গু'ত ও কু'ফফা'রদের হেদায়েত লিখা থাকলে হেদায়েত দিন নয়তো ধ্বংস করে দিন, আমিন।
✢ জান্নাতের উঁচু স্তরে থাকবে কারা?
❑ যারা আল্লাহর রাস্তায় জি'হা'দ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন, তারা জান্নাতের উঁচু স্তরে থাকবেন। তবে তাদের মধ্যে যারা প্রথম সারিতে থেকে যু'দ্ধ করেছেন, তারা অগ্রাধিকার পাবেন। নাইম ইবনু হাম্মার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সর্বোত্তম শ'হিদ তারা, যারা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে যু'দ্ধ করে; এক মুহূর্তের জন্যও পেছনে ফিরে তাকায় না। শ'ত্রু'দের হ'ত্যা করতে করতে একসময় নিজেই শা'হাদা'ত বরণ করে। তারা জান্নাতের উচ্চ ঘরগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করবে। তাদের দেখে তোমার রব প্রীত হবেন। আর তোমার রব কোথাও কারো প্রতি সন্তুষ্ট হলে তার হিসাব গ্রহণ করেন না।” [৪]
❑ যারা অসহায় ও বিধবার পাশে দাঁড়ায় এবং তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করে, তারাও মু'জাহি'দদের সমমর্যাদায় ভূষিত হবে। আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি বিধবা ও অসহায়ের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে, সে ওই ব্যক্তির মতো, যে আল্লাহর রাস্তায় জি'হা'দ করে; কিংবা ওই ব্যক্তির মতো, যে সারা রাত ইবাদত করে এবং সারা দিন সিয়াম পালন করে।” [১]
❑ আর যারা ইয়াতিমের ভরণপোষণ ও দেখভাল করে, তাদের মর্যাদা নবি-রাসুলদের মর্যাদার কাছাকাছি। আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “নিজের আত্মীয় সম্পর্কীয় কিংবা অপরিচিত ইয়াতিমের ভরণ পোষণকারী (চাই সেই সম্পদ নিজের বা ইয়াতিমের সম্পদ থেকে হোক) এবং আমি জান্নাতে কাছাকাছি থাকব। ইমাম মালিক হাদিসটি বর্ণনা করার সময় তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল দিয়ে ইশারা করেন।” [২]
[৪] মুসনাদু আহমাদ : ২২৪৭৬; আল-মুজামুল আওসাত, তাবারানি : ৩১৬৯ — শুআইব আল-আরনাউত সনদটিকে সহিহ বলেছেন
[১] সহিহুল বুখারি : ৫৩৫৩; সহিহ মুসলিম : ২৯৮২
[২] সহিহ মুসলিম : ২৯৮৩; মুসনাদু আহমাদ : ৮৮৮১
বইঃ জান্নাত-জাহান্নাম, পৃষ্ঠা : ৮৮-৮৯
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
“জান্নাতে চন্দ্রসূর্য থাকবে না। কাজেই থাকবে না রাত-দিনও। তবে সকাল-সন্ধ্যা বোঝা যাবে আরশের দিক থেকে বিচ্ছুরিত আলো দেখে।” [২]
[২] মাজমুউল ফাতাওয়া, ইবনু তাইমিয়া, খণ্ড : ৪, পৃষ্ঠা : ৩১২
বইঃ জান্নাত-জাহান্নাম, পৃষ্ঠা : ৬৬
শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
“জান্নাতের বহু স্তর রয়েছে। এক স্তর অপর স্তর থেকে যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ। আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ তাদের ঈমান, তাকওয়া ও নেক আমলের ভিত্তিতে এ সকল স্তরে স্থান পাবে।” [১]
[১] মাজমুউল ফাতাওয়া, ইবনু তাইমিয়া, খণ্ড : ১১; পৃষ্ঠা : ১২৮
বইঃ জান্নাত-জাহান্নাম, পৃষ্ঠা : ৮২
**শাইখুনা হারুন ইযহারের (হাফি.) বিয়ে নিয়ে বর্তমান সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নসিহত!
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের বাবা-মা কে বুঝার তৌফিক দান করুন ও আমাদের ফেতনা থেকে মুক্তি দান করুন, আমিন।**
শাইখুনা হারুন ইযহার (হাফি.) এর মতে মেয়েদের ইন্টারের বেশি পড়ার প্রয়োজন নাই। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে কথাটা সঠিক আমি পার্সোনালি এটার সাথে একমত।
ইসলাম সম্পর্কে জানতে সবচেয়ে বড় যেটা তা হলো প্রতিদিন কুরআন ১ আয়াত হলেও অর্থসহ পড়া, হাদিস পড়া ও তাফসির পড়া কুরআন বিস্তারিত বুঝার জন্য। আখিরাতের যত বিষয় আছে কবর, পুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম, হাশর, শহীদের মর্যাদা, কোন আমলের কেমন প্রতিদান এই বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করে অন্তরে গেঁথে রাখার চেষ্টা করা ইত্যাদি এই বিষয়গুলো বেশি বেশি জানা ও স্মরণে রাখা এটা খুবই কাজে দিবে মানুষের চিন্তা ভাবনা ও পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ
পাশাপাশি এগুলো বই প্রথমদিকে পড়তে পারেন —
ফেরা, বেলা শেষে পাখি, শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই, নফসের বিরুদ্ধে লড়াই, মুক্ত বাতাসের খোঁজে, আকাশের ওপারে আকাশ, বিপদ যখন নিয়ামাত, বেলা ফুরাবার আগে, দ্বীনে ফেরার পর হারিয়ে যেও না ইত্যাদি
আমি নিজেও সব পড়ি নাই কিন্তু যতটুকু জানি বইগুলো অনেক ভালো প্রথমদিকে অনেক উপকারী
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি আমলঃ
● সূরা আল-কাহফ পাঠ করা
● অধিক পরিমাণে দরুদ পড়া
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ
[“আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)”]
● বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়া
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ
[“আস্তাগফিরুল্লা-হ”]
● আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে দু'আ করা
অবশ্যই বেশি বেশি আমাদের ফি'লি'স্তিন (গা'জা), ভারত, কাশ্মীর, উ'ইঘু'র, সু'দানসহ সকল দেশের মাজ'লু'ম, মু'জা'হিদ, কা'রাব'ন্দী মুসলিম ভাই-বোন ও দ্বীনের দাঈদের জন্য দু'আ করবেন। আল্লাহ তা'য়ালা সকল জা'লি'ম, মুনা'ফি'ক, তা'গু'ত ও কু'ফফা'রদের হেদায়েত লিখা থাকলে হেদায়েত দিন নয়তো ধ্বংস করে দিন, আমিন।
যা ইচ্ছা জিজ্ঞেস বা পরামর্শ দিতে পারেন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ