রাইসির মৃত্যু যেন আমাদের ঈমানের মৃত্যুর কারণ না হয়

https://www.facebook.com/share/p/9qgCicrRQ4Ukebwe/?mibextid=oFDknk

Facebook

Log in or sign up to view

See posts, photos and more on Facebook.

স্ত্রী বেগানা পুরুষের সামনে মুখ ঢাকতে চায় না; করণীয় কী?

সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাকিহ আশ-শাইখুল আল্লামা ইমাম সালিহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান হাফিজাহুল্লাহ (জ. ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.) প্রদত্ত ফতোয়া—

প্রশ্ন : “আমার স্ত্রী নিকাব (মুখ ঢাকার বস্ত্রবিশেষ) পরতে অস্বীকার করে। আমি দীর্ঘদিন তার এ কাজের প্রতি ধৈর্যধারণ করেছি এবং তাকে নিকাব পরার নসিহত করেছি। এই কারণে আমি যদি তাকে তালাক দিই, তাহলে আমি কি পাপী হব?”

উত্তর : “না। বরং আল্লাহ চাইলে এই কাজের জন্য আপনি সওয়াব পাবেন। সে যদি নিজেকে পর্দাবৃত করতে অস্বীকার করে তাহলে তাকে তালাক দেওয়া আপনার জন্য ওয়াজিব। আর আল্লাহ আপনাকে তার চেয়ে উত্তম কারও ব্যবস্থা করে দেবেন।”

অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা

ভারতের মুসলিমরাও তাদের দেশের মুশরিকদেরকে এতটা ভয় করে না যতটা আমরা এই দেশে বসে আমাদের সংখ্যালঘু মুশরিকদেরকে ভয় করি!

সবকিছুতে অমূলক ভয় করতে থাকলে একদিন এই ভয় আমাদের উপর জয় করবে, সমস্ত মনোবল ভেঙে দেবে। আমরা যে দূরবর্তী ভবিষ্যতের জন্য প্রত্যেকটা কদম মেপে মেপে চলতে চাই, সেই ভবিষ্যতটা কাগজে কলমেই আবদ্ধ থেকে যাবে।

পরাজিত অবস্থায় থাকলেও পরাজিত মানসিকতা পরিহার করা আবশ্যক।

খারেজি দায়েশের ফিতনা থেকে আল্লাহ আযযা ওয়া যাল এই উম্মাহকে হেফাজত করুন। এরা কেমন ভয়ানক সেটা আমি অফলাইনেই একটা আলোচনার মধ্যে বুঝেছিলাম। সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সে বলেছিল বাংলাদেশকে যারা ভালোবাসে সবাই কাফির। আমি তীব্রভাবে বিরোধিতা করি কথাটার। দেশপ্রেমে কোনো সমস্যা…

দাওলা, দায়েশ, আইএসকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রাথমিক ধাপ হলো, “আমি দাওলাকে খারেজি মনে করি না”–কথাটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রচার করা।

এই কথাটা প্রাসঙ্গিকভাবে আসলে ভিন্ন কথা। কিন্তু যখন কোনো প্রসঙ্গ ছাড়াই প্রচার হবে তখন বুঝে নিতে হবে লোকটা দায়েশ সিম্পাথাইজার।

এই সিম্পাথাইজার তাদের সরাসরি সমর্থক কি না সেটা বুঝতে হলে তার অন্যান্য একটিভিটি অবজার্ভ করতে হবে৷ তাকফিরের প্রবণতা লক্ষ্য করা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

যাই হোক, আপনাদের যাদের এতকিছু বুঝতে সমস্যা হয় তারা সহজ একটা সূত্র ম্যান্টেইন করে হক তালাশ করবেন। বিশ্বের সকল হকপন্থী আলেমদের কাছে যে জামাত গ্রহণযোগ্য (ছাত্র ভাইদের কথাই ধরতে পারেন) তাদের সমর্থন করলে যা হোক অন্তত আপনি বিভ্রান্ত বা গোমরাহ হবেন না৷ অপরদিকে যারা তাদের অনর্থক, অযৌক্তিক বিরোধিতা করে, সর্বদা দোষত্রুটি তালাশ করে তারা গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট।

এরকম সিম্পাথাইজার বা সমর্থককে দেখলে একশো হাত দূরে থাকবেন। যদি পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে তাদেরকে ফিরে আসার জন্য দাওয়াহ দেবেন। অন্যথায় তাদেরকে সঠিক পথে আনতে গিয়ে তাদের চটকদার কথা শুনে বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন।

সকল ফিতনা নিরসনের ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই যে ফিতনার ব্যাপারে জ্ঞান সেই বিষয়ে নিজেকে যুক্ত না করাই সর্বোত্তম।
আল্লাহ তা’আলা এদেরকে হেদায়েত দান করুন। আমরা এদের প্রতি ঈমানদার হিসেবে যেমন ধারণা রাখি, বুকে টেনে নিতে চাই এরা সেটার বিপরীতে আমাদেরকে মুশরিকের চেয়েও খারাপ ভাবে, আমাদের রক্ত হালাল ভাবে।

If you don’t know what you’re dealing with, You should not deal with it.

লেখাটা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন, যাদের সতর্ক থাকা দরকার।

চারদিকে আলহামদুলিল্লাহ আমার শত্রুর অভাব নেই। তবে এটার পরোয়া করে আমি চুপ থাকতে রাজি না। বড় বড় দ্বীনি ব্র‍্যান্ড, জামশেদ সাহেবের ফ্যানরা নতুন করে শত্রু হবে জানি। তবুও দরকারি ভেবে লিখতে হলো। https://www.facebook.com/share/p/QMAwyHUJcQaN9yiB/?mibextid=oFDknk

ছাত্রদের দেশের একজন ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা হয়েছে আজকে। তিনি জানালেন সেখানে ব্যাংকে টাকা রাখলে কেউ সুদ পায় না।
প্রশ্ন করলাম তাহলে ব্যাংক চলে কেমনে?
উত্তরে তিনি বলেন ব্যাংকের থেকে টাকা তোলার সময় ব্যাংক সার্ভিস ফি কেটে নেয়। তিনি প্রতি মাসে ব্যাংকে বেতন পান। সেই টাকা তোলার সময় কিছু ফি দিতে হয়। কোন সুদ জমা হয় না।
তারপরে আমি প্রশ্ন করলাম ব্যাংক থেকে কি ঋণ নেওয়া যায়?
তিনি বললেন ব্যাংক বিনিয়োগ করে। ব্যবসা কাগজ জমা দিলে ব্যাংক সেগুলো খতিয়ে দেখে এবং আপনার ব্যবসাতে বিনিয়োগ করে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম বর্তমানে সেখানে খাদ্যাভাব আছে কিনা। তিনি বললেন না, তবে বাজারে কেবল হালাল খাবার পাওয়া যায়। আর সরকার কোক পেপসি সহ অন্যান্য যেই সকল কোম্পানি শত্রু পক্ষকে সাহায্য করছে তাদের পণ্য আমদানী বন্ধ করেছে। সব মিলিয়ে জীবন প্রায় আগের মতোই আছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে।

-মোহাইমিন পাটোয়ারী

ব্যবহারকারীদের মাঝে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার কারণে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা আস্ট্রা জেনেকা।

এই প্রতিষেধক উৎপাদন করেছিল ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ওষুধ ও বায়োফার্মাসটিক্যাল সংস্থা 'আস্ট্রা জেনেকা' (AstraZeneca)।

মাসনা ঘটনা নিয়ে বড় একটা লেখা লিখলাম। আশা করি আপনারা চিন্তাধারা পরিবর্তনের কিংবা এই ব্যাপারে সঠিক চিন্তার ছক পাবেন ইনশাআল্লাহ।

https://www.facebook.com/share/p/MFEiHTV4gfbPauuy/?mibextid=oFDknk

Facebook

Log in or sign up to view

See posts, photos and more on Facebook.

আসমা বিনতু আবু বকর (রা) ঘরের প্রয়োজনে অনেক দূর থেকে গিয়ে পানি আনতেন, লাকড়ি আনতেন। বুঝাই যাচ্ছে যে নারী হিসেবে এরকম কাজ করতে ওনার ভালো রকমের কষ্ট হতো। কিন্তু পরিবারের জন্য করতে। ওনার স্বামী জান্নাতের সুংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী যুবাইর ইবনু আওয়াম (রা) রাসূলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে বেশী ব্যস্ত থাকতেন। যদিও একটা সময় ওনাদের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়।

বলে রাখা ভালো, ওনার পিতা উম্মতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আবু বকর (রা), ওনার বোন উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা (রা), ওনার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রা) - যাকে অনেকে ইসলামের সপ্তম খলিফাও বলে থাকেন।

যাই হোক, আসমা (রা) 'র কথা বলার কারণটা হলো, উনি পরিবারের প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতেন। এটা হতে পারতো ইসলামে নারীদেরও প্রয়োজনর ঘরের বাহিরে গিয়ে কাজ করার অনুমোদন আছে - সেটার বড় একটা দালীল। কিন্তু এইটা নিয়ে দলীল আসলে কাউকেই দিতে দেখবেন না। কারণটা কি? যেই নারীটা পেটের দায়ে ইট ভাঙ্গে, সেটা তার ন্যাসেসিটি - সেটা তার শখ না। ন্যাসেসিটির জন্য তো দলীল লাগে না, বরং ন্যাসেসিটি নিজেই একটা দলীল।

কিন্তু যারা শখের বসে, এলিটিসম চর্চা করতে ঘরের বাহিরে কাজ করতে চায়, তারা যদি আসমা (রা) এর উদাহরণ দেয় - তাহলে আসলে সেটা যুতসই হয় না। কারণ তারা তো আসমা (রা) এর মত হতে চাচ্ছে না। তারা তো চাচ্ছে এমন স্ট্যাটাস যে, লোকজন তাদের স্কলার বলবে, অথবা ইন্টালেকচুয়ল বলবে, তার একটা আইডেন্টিটি হবে, ভালো একটা কামাইও থাকব - টোটাল হোয়াইট কালার জবের দলীল চাচ্ছে তারা। একটু কালচার করব, একটু সাহিত্যপনা, একটি এ্যস্থটিকপনা করবে, আবার তাদেরকে ডিসিশন মেকিং এ অংশও দিতে হবে - মোটা কথা সমাজের এলিট সোসাইটিং অংশ হওয়ার ইচ্ছাটার দলীল লাগবে।

এজন্য আসমা (রা) কিংবা ফাতিমা (রা) -রা দলীল হন না সাধারণত। দলীল হিসেবে আসেন খাদিজা (রা) - যিনি কিনা এমন একটা সময়ে রাসূলুল্লাহ (সা) এর পাশে ছিলেন, যখন বেশীরভাগ মানুষ তার বিরুদ্ধে ছিল। নবুয়াতের আগেও তিনি শুধুমাত্র সততা আর চারিত্রিক মুগ্ধতার কারণে নিজ থেকে বয়সে, অর্থনৈতিক স্ট্যাটাসে কম থাকা নবীজী (সা) কে বিয়ে করেছেন। এগুলো দলীল হিসেবে হাইলাইট হবে না, হাইলাইট হবে শুধু তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। কিংবা আয়িশা (রা) কত বড় স্কলার ছিলেন, ওনার কত ছাত্র ছিলো, কিন্তু কোন প্রকৃয়ায় তিনি স্কলার হলেন, কত বছর বয়সে তিনি বিয়ে করলেন, সেগুলোর কোনটাই দলীল হচ্ছে না - অদ্ভুত না?

এখানে ওনাদের সাকসেসটা দলীল হচ্ছে, কিন্তু সাকসেসের পিছনের স্ট্র্যাগল, প্রক্রিয়া, কিংবা সাকসেসের পরে ওনাদের আচরণটা আর দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। ওনারা এলিটিসম চর্চা করতে ব্যবসা করেন নি, এলিটিসম চর্চা করতে জ্ঞান অর্জন করেন নি। আল্লাহ তা'আলা সমাজের অনেকে নারীদের মধ্যে তাদেরকে এই নিয়ামতগুলো দিয়েছিলেন কেবল।

উদাহরণ হতে পারতেন, দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ নারী মারাইয়াম (আ), কিংবা ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া (আ) - কারণ তিনি কত প্রতিকূল পরিস্থিতিক বেছে নিয়েছিলেন, অথচ ওনার সুযোগ ছিল দুনিয়ার গড্ডালিকায় গা ভাসাতে, উনি ফেরাউনের পথেই চলতে পারতেন, অথচ তিনি বেছে নিয়েছিলেন ঈমানের পথ। অথচ এইদিকে নূহ (আ) এবং লূত (আ) এর স্ত্রীদের পরিণতি দেখুন। চয়েস আপনাদের যে, কাদের আসলেই অনুসরণ করবেন।

-Bearded Bengali ভাই।